ঝিনাইদহে ইনডেস্ক বিহীন শিক্ষক সুপার পদে বহাল,সমালোচনার ঝড়

লালন মন্ডল ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহের সদর উপজেলার নলডাঙ্গা শামসুল আলম দাখিল মাদ্রাসার বর্তমান সুপারের বিরুদ্ধে আইন বর্হিভূতভাবে নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। ইনডেস্ক বিহীন শিক্ষক ইকবাল আনোয়ার একই মাদ্রাসয় সুপার পদে বহাল হয়েছেন। এ বিষয়ে কেউ মুখ খুলতে পারছেন না। ইতিমধ্যে ২০ অক্টোবর ২২ মাদ্রাসা বোর্ডের ওয়েব সাইডে নলডাঙ্গা শামসুল আলম খান মাদ্রাসায় সুপার পদে ইকবাল আনোয়ার এর নাম দেখা গেছে। ইতিপূর্বে তিনি কালীগঞ্জ উপজেলার দুলালমুন্দিয়ার গাজেম আলী দাখিল মাদ্রাসায় সহ-সুপার পদে কর্মরত ছিলেন।
গত ১০ মে ২০২২ তারিখে নিজ স্বাক্ষরিত একটি আবেদনে নলডাঙ্গা শামসুল আলম খাঁন দাখিল মাদ্রাসা থেকে পদত্যাগ করেন। পদত্যাগের ১০ দিন পর ২০ মে ২২ জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় সুপার পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি ঐ প্রতিষ্ঠান বরাবর দিয়ে থাকলেও কোন নিয়োগ পরীক্ষা এখনো অনুষ্ঠিত হয়নি। অবশ্য নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পর্কে সভাপতি কিছুই জানে না। এই পরীক্ষায় ইকবাল আনোয়ার আবেদনের প্রার্থী ছিলেন।

ইতিপূর্বে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা পরিষদ চত্তরে ডিজির প্রতিনিধি সহকারী পরিচালক(অর্থ) লুৎফর রহমান এই ইকবাল আনোয়ারকে নিয়োগ দিতে ঢাকা থেকে উড়ে আসলেও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের অনুপস্থিতির কারনে চলে যেতে বাধ্য হন। গত ২০ মে খুলনা বিভাগের মাদ্রাসা বোর্ডের ডিজির প্রতিনিধি মোহাম্মদ হোসাইন সরেজমিনে না এসে শুধু টেলিফোনে তদন্তের মাধ্যমে ইকবাল আনোয়ারের ইনডেস্ক সচল করেন।
স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ করেন,কি ভাবে ইকবাল আনোয়ার ইনডেস্ক বাদে শিক্ষক হয়। ইতিপূর্বে দুই প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করে বেতন/ভাতা তুলেছেন। এখন শুনছি ব্যাকডেটে নিয়োগ করে নলডাঙ্গা শামসুল আলম খান দাখিল মাদ্রায় সুপার পদে নিয়োগ নিচ্ছে। এমনটি হলে আমরা আমাদের সন্তানদের প্রতিষ্ঠান থেকে নিয়ে অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দিব।
কালিগঞ্জ উপজেলার গাজেম আলী দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোঃ রবিউল ইসলামের কাছে এইবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,ইকবাল আনোয়ার ১ মে ২০০১ সাল থেকে ১ মে ২০২০ সাল পর্যন্ত কর্মরত ছিল। পদত্যাগের পরও এই প্রতিষ্ঠান থেকে অতিরিক্ত ৪ মাসের বেতন বেশি তুলেছে।
নলডাঙ্গা শামসুল আলম খান দাখিল মাদ্রাসার সহকারী সুপার বাবুল আক্তার বলেন,ইকবাল আনোয়ারের নিয়োগ হয়নি এটা নিশ্চিত থাকতে পারেন। আর এ ব্যপারে ভাল বলতে পারবেন প্রতিষ্ঠানের সভাপতি।
ইকবাল আনোয়ার ইনডেস্কধারী শিক্ষক হয়ে কীভাবে মাদ্রাসায় যোগদান করে এমন প্রশ্নের জবাবে অত্র প্রতিষ্ঠানের সভাপতি অহিদুল আলম খান খোকন জানান,আমি ইনডেস্ক তৈরির ব্যপারে কোন স্বাক্ষর করিনি এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তবে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শেখ মোঃ কামরুজ্জামান বলেন,এ বিষয়ে সভাপতি ভাল বলতে পারবেন আমি কিছু বলতে পারব না।
এই ইকবাল আনোয়ারের বিরুদ্ধে দুলালমুন্দিয়া গাজেম আলী দাখিল মাদ্রাসায় সহকারী সুপার হিসাবে কর্মরত থাকাকালীন সময়ে নারী কেলেঙ্কারীসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে জড়িয়ে পড়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *