মোল্লাহাটে স্কুলের নাম পরিবর্তন চেস্টার প্রতিবাদে ফুসে উঠছে এলাকাবাসী
বাগেরহাট (মোল্লারহাট) প্রতিনিধি : বাগেরহাটের মোল্লাহাটে প্রায় অর্ধশত বছরের ’নগরকান্দি সপ্তপল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয়’ এর নাম গোপনে পরিবর্তন এবং ব্যক্তি নাম যুক্ত করার চেষ্টার বিরুদ্ধে ফুসে উঠছে এলাকাবাসী। গত বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরিদর্শক বিনা নোটিশে গোপনে নাম পরিবর্তনের বিষয়ে পরিদর্শনে আসার একপর্যায়ে জানা-জানি হলে স্থনীয়রা ফুসে ওঠে এবং তীব্র প্রতিবাদ জানায়। স্থানীয়রা জানতে পারা এবং ফুসে ওঠার এঘটনায় প্রধান শিক্ষককে দোষারোপ করাসহ অনতি বিলম্বে নাম পরিবর্তনের বিষয়ে সকল প্রকার কাগজপত্র/তথ্য দেয়ার নির্দেশ প্রদান করেছেন ওই পরিদর্শক।
এ খবরে সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানের বর্তমান নাম রক্ষা এবং নতুন নাম করন চেষ্টার প্রতিবাদে স্থানীয় শতাধিক লোক মিছিল করছে।
মিছিলে নেতৃত্বদানকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মোক্তার হোসেন বলেন, সময়, শ্রম, অর্থ সব কিছু দিয়ে আমরা এই প্রতিষ্ঠান করেছি। ৭’টি গ্রামের সমন্বয়ে ’নগরকান্দি সপ্তপল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয়’ ১৯৭৩ সাল / শুরু হতে বর্তমান পর্যন্ত বহমান। এই প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠায় অবদান না রেখেও অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মুজিবুর রহমান তার পিতা জেনহার উদ্দিনের নামে নাম করনের জন্য গোপনে ষড়যন্ত্র করছে। অসাধূ কর্মকর্তা প্রভাবিত হয়ে প্রায় অর্ধশত বছরের সকলের পরিচিত ও প্রাণের নাম পরিবর্তন করতে মেতেছে। এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মোক্তার হোসেন, রুহুল কাজী, আলমগীর কাজী ও রানা কাজীসহ অনেকে। তারা আরো বলেন, নাম পরির্তনের ষড়যন্ত্রের সাথে অত্র বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোরাদ হোসেন জড়িত। এছাড়া সহকারী প্রধান শিক্ষক মোরাদ হোসেন বিদ্যালয়ের গাছ আত্মসাত করেছে এমন অভিযোগ তুলে বিচার দাবীতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন সকলে।
ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোল্লা সিদ্দিকুর রহমান জানান, ২দিন আগে যশোর বোর্ডের উপ-পরিদর্শক তাকে মোবাইলে জানান, পরিদর্শক স্যার বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় পরিদর্শনে আসবেন। কিন্তু ৯টার স্থলে পরিদর্শক স্যার সকাল ৮টায় বিদ্যালয়ে চলে আসেন। স্থানীয়রা স্যারের আসার বিষয়টি জানতে পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করে। স্থানীয়রা জানতে পারা ও ক্ষোভ প্রকাশ করায় তার প্রতি পরিদর্শক স্যার রাগ হয়েছেন এবং যাবতীয় তথ্য অনিতি বিলম্বে দেয়ার জন্য আদেশ করেছেন।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ জাকির বিশ্বাস জানান, শুরু থেকে অর্ধশত বছর বছরের নাম ৭টি গ্রাম মিলে নগরকান্দি সপ্তপল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিবর্তন করার পক্ষে তারা নেই। এ নাম থাকতে হবে।
এবিষয়ে বক্তব্য নেয়ার জন্য সহকারি প্রধান শিক্ষক মোরাদ হোসেনকে খুজে পাওয়া যায় নাই।
যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরিদর্শক মোঃ সিরাজুল ইসলাম এর ০১৭১৬-৯৮২৭৫৪ নম্বরে কল করলেও রিসিভ না করায় তাঁর বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়।