নাটোর ঢাকোপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক, কুতুব মাস্টার সরকারের নির্দেশ অমান্য করে সকালে নিজ বাড়ীতে এবং বিকালে স্কুলে কোচিং বানিজ্যে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি : নাটোর ঢাকোপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক, কুতুব মাস্টার সরকারের নির্দেশ অমান্য করে সকালে নিজ বাড়ীতে এবং বিকালে স্কুলের শ্রেণি কক্ষে কোচিং বানিজ্যে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে মর্মে জানা যায়। ঘটনার বিবরনে প্রকাশ, নাটোর সদর থানাধীন ঢাকোপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কুতুব মাস্টার নিজ বাড়ীতে স্কুল খুলে বসে আছে। যাহা উপরে উল্লেখিত ছবিতে স্পষ্ট প্রমান করে। এলাকার সতেচন মহল ব্যক্ত করে ঢাকোপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম কোচিং বানিজ্যের কারনে ব্যহত হচ্ছে। নির্ভরযোগ্য সূত্রটি আরও জোরালো কষ্ঠে ব্যক্ত করে স্কুলের একই গ্রামে কুতুব মাষ্টারের বাড়ী হওয়াতে এই সুযোগটি ব্যবহার করছে। প্রত্যেক ছাত্র/ছাত্রী থেকে জানা যায় ৫০০/-টাকা হারে সকালে দুই ব্যাচ নিজ বাড়ীতে এবং বিকালে এক ব্যাচ স্কুলে বসেই প্রাইভেট পড়ানো হয়। প্রকাশ থাকে যে, সকালের ব্যাচে তৃতীয় শ্রেণি সকাল ৭টা থেকে ৮টা এবং ৪র্থ শ্রেণি সকাল ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত। তদ্রুপ স্কুলের ক্লাস রুমে ৫ম শ্রেণির ছাত্র/ছাত্রীদের বিকাল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ঐ একই হারে প্রাইভেট পড়ানো হয়। সরেজমিনে অত্র প্রত্রিকার প্রতিনিধিদ্বয় কুতুব মাষ্টারের বাড়ীতে সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে উপস্থিত হয়ে দেখতে পায় স্কুলের ছাত্র/ছাত্রী প্রায় সবই কুতুব মাষ্টারের বাড়ীতেই অবস্থান করছে। এক পর্যায়ে কুতুব মাষ্টারের স্বাক্ষাতে জানা যায় সব শ্রেণির ছাত্র/ছাত্রী এখানে নাই। শুধুমাত্র তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র/ছাত্রীরাই ৭টার ব্যাচে উপস্থিত রয়েছে। তবে ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র/ছাত্রীরা বাড়ীর পিছনের আঙ্গিনায় প্রাইভেট পড়ার অপেক্ষায় অবস্থান করছে। এলাকার সচেতন মহলের ভাষ্য ঢাকোপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুজা সাহেব এই কোচিং বানিজ্যের সাথে সম্পৃক্ত আছে কি না তাহা তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত জানা দরকার। (আগামীতে বিস্তারিত জানার জন্য প্রত্রিকার পাতায় চোখ রাখুন)।