র্যাব-৬ এর অভিযানে অপহরন ও চোরচক্রের মূলহোতা গ্রেফতার, ভিকটিম ও ইজিবাইক উদ্ধার।
মশিউর রহমান : ভিকটিম আমিনুল ইসলাম চুন্নু(৫২) একজন ইজিবাইক চালক। তিনি প্রতিদিনের ন্যায় ১৭ অক্টোবর ২০২২ তারিখ সকাল ১১.৩০ ঘটিকার সময় ঝিনাইদহ সদর থানাধীন বিসিক শিল্প নগরী এলাকায় যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। তার ইজিবাইকে কোন যাত্রী না থাকার সুযোগে গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ মিজান শেখ ওরফে মিরাজ সহ অজ্ঞাতনামা ০৩জন আসামী একটি সাদা রংয়ের মাইক্রোবাস নিয়ে সেখানে এসে চেতনানাশক ঔষধ মিশানো রুমাল ভিকটিমের মুখে চেপে ধরে তাকে অচেতন করে মাইক্রোবাসে উঠিয়ে নিয়ে যায়। তখন অপহরন চক্রের সদস্য গ্রেফতারকৃত আসামী চালক সেজে ইজিবাইক নিয়ে পালানোর চেষ্টাকালে স্থানীয় লোকজন টহলরত র্যাবের নিকট বিষয়টি জানায়। তাৎক্ষনিক র্যাবের আভিযানিক টিম ইজিবাইকসহ আসামী-১। মোঃ মিজান শেখ ওরফে মিরাজ, থানা-মুকসুদপুর, জেলা-গোপালগঞ্জকেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে এবং গোপনীয় তথ্যের ভিত্তিতে র্যাবের আভিযানিক দল ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ থানা এলাকা হতে ভিকটিম চুন্নু মিয়া(৫২)কে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে। পরবর্তীতে উদ্ধারকৃত ভিকটিমকে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।উক্ত বিষয়ে ভিকটিমের ভাতিজা তাজমুল হোসেন টিপন বাদী হয়ে র্যাবের সহায়তায় ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত অপহরন ও ইজিবাইক চুরি চক্রের সাথে তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত আসামীসহ সহযোগী আসামীরা একটি সংঘবদ্ধ অপহরন ও চোরাই চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা দেশের বিভিন্ন এলাকায় মাইক্রোবাস যোগে পরিকল্পিতভাবে ইজিবাইক চালকদের কৌশলে চেতনানাশক ঔষধ ব্যবহার করে ভিকটিদের অচেতন করে ইজিবাইক নিয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ভিকটিম ইজিবাইক চালককে অচেতন অবস্থায় মাইক্রোযোগে তুলে নিয়ে তার নিকট হতে টাকা-পয়সা ও মালামাল নিয়ে দূরে কোথাও সুবিধাজনক স্থানে ভিকটিমকে ফেলে রেখে চলে যেত। উক্ত অপরহরন ও ইজিবাইক চোরাকারবারী চক্রের অন্যান্য সহযোগীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাবের অভিযান অব্যাহত আছে।