ঝিনাইদহ হতে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার প্রধান পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৬।
মশিউর রহমান : ধৃত আসামী বিপ্লব জীবিকার তাগিদে রাজবাড়ি জেলার বালিয়াকান্দি এলাকায় অবস্থানকালে এক নাবালিকা ভিকটিমের সাথে প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে আসামী বিপ্লব তার অন্যান্য সহযোগী আসামীদের সহযোগীতায় ভিকটিমকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। বিপ্লব ও তার সহযোগীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ভিকটিমের অপ্রীতিকর ভিডিও এবং ছবি মোবাইল ফোনে ধারণ করে। আসামী বিপ্লব মোবাইলের ধারণকৃত ছবি ফেসবুকে প্রচারের ভয়ভীতি দেখিয়ে নাবালিকা ভিকটিমকে বিভিন্ন সময় ক্রমাগতভাবে ধর্ষণ করে আসছিল। এক পর্যায়ে আসামীগণ নাবালিকা ভিকটিমকে পাচারের উদ্দেশ্যে গত ০৫ জুলাই ২০২২ তারিখ ভিকটিম স্কুল থেকে বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা করলে ধৃত আসামীসহ সহযোগী আসামীরা ভিকটিমকে জোরপূর্বক অপহরণ করে অটো যোগে নিয়ে যায়। তারা মাগুরা বাসষ্ট্যান্ডে পৌছালে স্থানীয় লোকজনের বিষয়টি সন্ধেহজনক মনে হলে ভিকাটিমকে রেখে ধৃত আসামিসহ সহযোগী আসামীরা পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে ভিকটিম এর নানী রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি থানায় একটি মামলা দায়ের করে। ঘটনার বিষয়ে র্যাব-৬, ঝিনাইদহক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং আসামী গ্রেফতারে গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রাখে।
গত ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখ র্যাব-৬, ঝিনাইদহ ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারে যে, উক্ত ধর্ষণ ও অপহরণ মামলার প্রধান পলাতক আসামী বিপ্লব(২২) ঝিনাইদহ জেলার সদর থানা এলাকায় অবস্থান করছে। প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যে আভিযানিক দলটি একই তারিখ ২২:৩০ ঘটিকার সময় ঝিনাইদহ জেলার সদর থানাধীন ডাক বাংলো বাজারস্থ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত ধর্ষণ ও অপহরণ মামলার প্রধান পলাতক আসামী-বিপ্লব(২২), থানা- ঝিনাইদহ সদর, জেলা-ঝিনাইদহকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে উক্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।