ঠাকুরগাঁওয়ে পাউবো’র কাজে ব্যাপক অনিয়ম
ক্ষুদ্ধ হয়ে কাজ বন্ধ করলেন এলাকাবাসি
জসীম উদ্দিন ইতি ঠাকুরগাঁও : ঠাকুরগাঁও জেলার নদী রক্ষা বাঁধের বল্ক তৈরিতে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমন অভিযোগে স্থানীয় এলাকাবাসি কয়েক দফায় কাজ বন্ধ করে দেয়ার পর পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা সদরের ঢোলারহাট ইউনিয়নের উত্তর বোয়ালিয়া এলাকায় টাংগন নদীর ভাংগন রক্ষা বাঁধ নির্মাণে নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে বল্ক তৈরি করা সময় স্থানীয়রা ক্ষুদ্ধ হয়ে কাজ বন্ধ করে দেন। পরে খবর পেয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, মাটিযুক্ত বালু, ছোট পাথরের জায়গায় বড় পাথর, পাথরের সাথে ধুলোবালিযুক্ত অবস্থায় ঢালাই ও ইটের খোয়া মিশ্রনে শ্রমিকরা একের পর এক তৈরি করছেন বøক। এমন অবস্থায় কাজ ভাল না হওয়ায় স্থানীয় এলাকাবাসি কাজ বন্ধ করে দেন।
বøক নির্মানে এর আগেও অনিয়ম ও কাজের মান খারাপ হওয়ায় বেশ কয়েকবার সংশ্লিস্ট কাজের শামিমুর রহমান জামাল হোসেন জেভি নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের নিষেধ করে স্থানীয়রা। তারপরেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন নিয়মের তোয়াক্কা না করেই নি¤œমানের সামগ্রী দিয়েই কয়েক হাজার বøক তৈরি করেন। এতেই ক্ষুদ্ধ হন তারা। তবুও গাঁয়ের জোরে আর পানি উন্নয়ণ বোর্ডের যোগ সাজসে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। অবিলম্বে কাজ বন্ধ রেখে সুষ্ট তদন্তের দাবি করেন স্থানীয়রা। অন্যথায় নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে তৈরি বøক করে বাঁধের কাজ সম্পুর্ন করা হলে সরকারের কোটি কোটি টাকা ভেস্তে যাওয়ার শংকা প্রকাশ করছেন তারা।
ঢোলারহাট ইউনিয়নের ওই ওয়ার্ডের শাহাজান আলী জানান, এলাকাবাসির অভিযোগে প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে এসে দেখা গেছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যে কাজটি চলমান রেখেছেন। তার মান অত্যান্ত খারাপ। তারা মনে করেছেন গ্রাম্য এলাকায় নিন্মমানের সামগ্রী ব্যবহার করে লাখ লাখ টাকা লুট করবে। স্থানীয়রা সচেতন বলেই কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। এছাড়া একই ঠিকাদার আরো দুটি স্থানে বøক তৈরির কাজ পেয়েছেন। ব্যবস্থা না নিলে সেখান থেকেও সরকারের অর্থ লুট করবে।
সংশ্লিস্ট কাজের ঠিকাদার জামাল হোসেন অনিয়মের কথা স্বীকার করে বলেন, শ্রমিকরা এসব করেছে। তারা ভালভাবে পাথরে পানি ব্যবহার করেনি। তবে বিষয়টি নজরে আসার পর কাজ ভালভাবে করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও পানি উন্নয়ণ বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম ঠিকাদারের পক্ষে সাফাই গেয়ে জানান, স্থানীয়রা কাজ বন্ধ করে দেয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে প্রতিনিধি পাঠানো হয়। অনিয়মের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আট কোটি একত্রিশ লাখ একানব্বই হাজার টাকায় চলতি অর্থ বছরে একটি প্যাকেজের তিনটি স্থানের কাজ পায় ওই ঠিকাদরি প্রতিষ্ঠান। যা জুন মাস থেকে দুটিস্থানে কাজ চলমান রেখেছেন।