বাগেরহাটের চিতলমারী কমিউনিটি ক্লিনিকে নিয়োগের অনিয়মের অভিযোগ

মেহেদি হাসান নয়ন বাগেরহাট : বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা সদর ইউনিয়নে কমিউনিটি ক্লিনিকে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ এনে জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জনের কাছে অভিযোগ করেছেন সুরশাইল কমিউনিটি ক্লিনিকের পরিচালনা কমিটির কোষাধ্যক্ষ রুপালী বেগম।
অভিযোগে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারী সুরশাইল কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) পদে নিয়োগ প্রদান করা হয়। নিয়োগ প্রদান করার শর্তে উল্লেখ ছিল প্রার্থীকে অত্র ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। কিন্তু নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ পাশ^বর্তী হিজলা ইউনিয়নের বাসিন্দা ভূমিকা বর্মনের তথ্য গোপন করে সরদর ইউনিয়নের সুরশাইল কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) পদে নিয়োগ দেন। নিয়োগের পর থেকে ভুমিকা বর্মন সুরশাইল কমিউনিটি ক্লিনিকে দায়িত্ব পালন নাই। এ বিষয়ে স্থানীয় লোকজন চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থো ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মামুন হাসানের কাছে গেলে তিনি বিষয়টি খোজ খবর নেন। তিনি জানতে পারেন সুরশাইল কমিউনিটি ক্লিনিকে সিএইচসিপি পদে ভ’মিকা বর্মনের নিয়োগ আছে। পরবর্তীতে গত ২০২২ সালের ১৮ এপ্রিল তারিখে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থো ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে সুরশাইল কমিউনিটি ক্লিনিকে ডিউটি করেন। তিনি আরো জানান, তিনি অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ১ নং শর্তে স্পষ্ট লেখা রয়েছে প্রার্থীকে ক্লিনিকের একই ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। কিন্তু ভ‚মিকা বর্মন হিজলা ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দা। নিয়োগ বিজ্ঞন্তির ১২ নং শর্তে স্পষ্ট লেখা রয়েছে নিয়োগ প্রাপ্তির পরেও অসত্য/ ভ‚য়া প্রমাণিত হলে নিয়োগ বাতিল করা হবে এবং মিথ্যা/ ভুল তথ্য সরবরাহ করার জন্য তার বিরুদ্ধে আইনগত/প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এক্ষেত্রে সুরশাইল কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলস কেয়ার প্রোভাইডার
(সিএইচসিপি) ভ‚মিকা বর্মন শুধু অসত্য ও ভুল তথ্য দিয়ে চাকুরী গ্রহন করেন নাই। তিনি জালিয়াতীর মাধ্যমে বেতন ভাতাও গ্রহণ করছেন। তিনি তথ্য গোপনকারী ভ‚মিকা বর্মনের বিরুদ্ধে আইনগত প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।এ বিষয়ে সদর ইউনিয়নের জাহানার বেগম জানান, ভুমিকা বর্মন দীর্ঘ ৩ বছর নিয়োগ নিয়েও চাকরী করেননি। ফলে হাজা হাজার মানুষ স্বাস্থ্যে সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তিনি অফিসের কোন নিয়োম কানুনের তোয়াক্কা না করে ভুমিকা বর্মন সকাল ১০ টায় অফিসে আসেন আবার দুপুর ১টার আগেই অফিস থেকেবের হয়ে যান। তিনি বলেন, আমরা চাই অত্র ইউনিয়নের একজন যোগ্য ব্যক্তিকে আমাদের কমিউনিটি ক্লিনিকে নিয়োগ দেওয়া হোক।
চিতলমারী সদর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ ইব্রাহীম মুন্সি জানান,ভুমিকা বর্মন পাশ^বর্তী হিজলা ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দা। তিনি সুরশাইল কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত আছেন।
এ বিষয়ে ভুমিকা বর্মন জানান, আমি ২০১৮ সালে নিয়োগ সুরশাইন কমিউনিটি ক্লিনিকে নিয়োগ পাই। ২০১৮ সালের ৯ ডিসেম্বর চাকরিতে যোগদান করি। সেই থেকে আমার বাড়ি হিজলা ইউনিয়নের কাছে চরবড়বাড়িয়া কমিউনিটি ক্লিনিকে ডিউটি পালন করতাম। ২০২২ সালের সালের ১৮ এপ্রিল থেকে সুরশাইল কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত রয়েছি।
চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থো ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মামুন হাসান জানান, সুরশাইল কমিউনিটি ক্লিনিকের নিয়োগের অনিয়মের অভিযোগের বিষয়টি আমার কাছে এসেছিল। আমি বিষয়টি উদ্বোধন কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা জানা যেভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ওভাবেই থাকবে আমাদের কিছু করার নাই। বাগেরহাটের ডেপুুটি সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ হাবিবুর রহমান জানান, সুরশাইল কমিউনিটি ক্লিনিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ন নিয়ম ও বিধি মোতাবেক করা হয়েছে। তার নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ন বৈধ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *