হরিপুরে নির্ধারিত সময়ের আগেই স্কুল ছুটি,
শিক্ষা কর্মকর্তা সময়মতো অফিসে আসেন না
জসীম উদ্দিন ইতি হরিপুর ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ে হরিপুর উপজেলার অধিকাংশ উচ্চমাধ্যমিকও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলো সরকারের দেওয়া নির্ধারিত সময়ে আগেই ছুটি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এতে শিক্ষার মান ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে অভিভাবক মহল।
অধিকাংশ বিদ্যালয় দুপুর ১২টা থেকে ১টার মধ্যে ছুটি দিয়ে বাড়ি চলে যাচ্ছে। বিপাকে পড়ছে ছাত্র-ছাত্রীগন। এতে শিক্ষার মান দিনদিন কমে যাচ্ছে। অভিভাবক মহল তাদের সন্তানদের শিক্ষা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় পড়েছে।
স্থানীদের অভিযোগ করোনা পরিস্থতিতে দীর্ঘদিন বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক পড়াশোনা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এখন বিদ্যালয় খোলা হলেও শিক্ষকরা নির্ধারিত সময়ের আগে বিদ্যালয় ছুটি দিয়ে দিচ্ছেন। এতে করে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। নির্ধারিত সময়ের আগে বিদ্যালয় ছুটি হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় অভিভাবক ও এলাকাবাসী। সরকারের দেওয়া নির্ধারিত সময়ের আগেই ছুটি দিয়ে যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষার মান নষ্ট করছে ঐসব শিক্ষক বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন তারা।
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় জীবনপুর নিম্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যাওয়া হলে বিদ্যালয়ে কোন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর দেখা মিলে নাই। স্কুলের প্রতিটি রুম রয়েছে তালা বদ্ধ।
স্কুলের মাঠ থেকে প্রধান শিক্ষক মুকসেদ আলীকে ফোন দেওয়া হলে তিনি জানান, আমি রংপুরে আছি আজকে আকাশ মেঘলা থাকার কারণে তাড়াতাড়ি ছটি দেওয়া হয়েছে।
তবে বিদ্যালয়ের আশেপাশের লোকজন নাম না বলার শর্তে বলেন, প্রতিদিনই দুপুর সাড়ে ১২টা বা ১টার মধ্যে স্কুল ছুটি দিয়ে শিক্ষকরা বাড়ি চলে যায়।
রাস্তায় ফয়েজ আলী নামে এক সহকারী শিক্ষককের সাথে দেখা হলে স্কুল বন্ধ কেনা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন বৃষ্টির কারণে সাড়ে ১২টায় ছুটি দেওয়া হয়েছে। আজ তো কোনো এই এলাকায় বৃষ্টি হয় নাই তাহলে বৃষ্টির অযুহাত দিয়ে ছুটি দিলেন কেনো জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি কিছু না বলে ঐখান থেকে চলে যায়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রাইহানুল ইসলাম মিঞা বলেন, বিষয়টি আমি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।