মাগুরা জেলাকে ভুমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত জেলা ঘোষনা করবেন প্রধানমন্ত্রী।
মাগুরা প্রতিনিধি : মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে মাগুরা জেলা ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারই ধারাবাহিকতায় জেলায় ৬৭২টি পরিবারকে ভূমি ও গৃহ উপহার দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনাকে সামনে রেখে মাগুরার জেলা প্রশাসক ড,আশরাফুল আলম সোমবার বিকেলে তার সম্মেলন কক্ষে এক প্রেসব্রিফিং করেন। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জুলিয়া সুকাইনা, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইয়াছিন কবীর, শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিউজা উল জান্নাহ, মহম্অমদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রামানন্দ পাল, শালিখা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তারিফ – উল- হাসান, জেলা তথ্য অফিসার রেজাউল করীম ,জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। তিনি ব্রিফিংএ বলেন,গৃহহীন মানুষ পেয়েছে মাথা গোজার ঠাই।
দুই শতক জমির ওপর ঘর তার পাশে খালি জায়গায় করেছে সবজি চাষ। পূরণ হচ্ছে পুষ্টির চাহিদা।
কষ্টের দিনগুলোর কথা ভুলে গিয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করছে উপকার ভোগীরা।
শালিখা উপজেলার ফকিরের বাচড়া ও মহম্মদপুর চর জাংগালিয়ায় গড়ে তোলা আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পরিদর্শন করে এ তথ্য নিশ্চিত করেন জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলম,
তিনি বলেন, শনিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত শালিখা উপজেলার তালখড়িতে নির্মাণ হওয়া আশ্রয়ণ প্রকল্প, একই উপজেলায় শতখালি ইউনিয়নে ফকিরের বাচড়া গ্রামের দ্বিতীয় ধাপে নির্মিত আশ্রয়ণ প্রকল্প, শালিখা গঙ্গারামপুর ইউনিয়নের সোনাকুড়, কোতপুর গ্রাম দ্বিতীয় ধাপে আশ্রয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলম জানান, প্রধানমন্ত্রীর আয়শ্রণ প্রকল্পের আওতায় জেলায় মোট ৬৭২টি পরিবারকে গৃহ ও দুই শতক জমিসহ দলিল দেওয়া হয়েছে। এখানে আধুনিক সব সুযোগ সুবিধা সম্বলিত প্রতিটি দুই কক্ষের ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। তাছাড়া মাগুরা জেলা ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণার দ্বারপ্রান্তে।
আগামী ২১ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্সুয়ালী দুটি জেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করবেন। তার মধ্যে মাগুরা একটি অপরটি পঞ্চগড়। মাগুরা জেলার এই গর্বিত কাজের অংশ হিসেবে তারা সত্যিই গর্বিত উল্লেখ করে বলেন, দু বছর ধরে নিবিড়ভাবে কাজগুলো শেষ করা হয়েছে। প্রাথমকিভাবে ক তালিকায় ৭৭৫ জনের তালিকা নিয়ে কার্যক্রম শুরু করা হয়। এ পর্যায়ে ৬৭২টি পরিবারকে জমিসহ ঘর দেয়া হয়েছে। এ ঘরগুলো জেলার ৪৮টি স্থানে নির্মাণ করা হয়েছে।
এই কাজ করতে যেয়ে সরকারের ৮২ একর খাস জায়গা উদ্ধার করা হয়েছ। ভূমিহীনদের ঘর দেওয়ার এই কাজ ভবিষতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানান।
তিনি আরও বলেন, জনপ্রতিনিধি, সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবং সুধি সমাজ সবাই এ কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং সহায়তা করেছিলেন সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। মানুষ যেকোনো সময় ভূমিহীন ও গৃহহীন হতে পারে। সে কারনে এ কাজ চলমান রাখা হবে। জেলায় এখনো খাস জমি রয়েছে যদি কোথায় গৃহহীন মানুষ পাওয়া যায় তাকে ঘর দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।