প্রবাস ফেরত ব্যবসায়ী প্রতারক চক্রের ব্লাকমেইলের শিকার।
আলমগীর কবির : জাবুসা গ্রামের ওয়াকিদুজ্জামান ডাবলু মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের ব্যবসায়ী হিসাবে বিদেশ ও দেশে অনেকের পরিচিত একজন মানুষ। দীর্ঘ ৩০ বছর নিজ গ্রাম ছেড়ে ভাগ্য পরিবর্তনে ঢাকা ও মালয়েশিয়ায় জীবন সংগ্রামে নিজেকে বেশ অবস্থানে নিয়েছেন। তার এই জীবনের পরিবর্তন অনেকের সহ্য হচ্ছে না। মালয়েশিয়ায় থাকাকালিন তার অফিসের সহকারী চাঁদপুরের আব্দুর রহমান আবির নামক আন্তর্জাতিক প্রতারক গত ১ বছর ধরে জনাব ওয়াকিদুজ্জামান ডাবলুকে বিভিন্ন ভাবে ব্লাকমেইল করার চেষ্টা অব্যহত রাখে। ওয়াকিদুজ্জামান ডাবলু মালয়েশিয়া অবস্থান কালিনী উক্ত আব্দুল রহমান আবির ছলে বলে কৌশলে তার কাছ থেকে টাকা নেওয়ার পরিকল্পনা করতে থাকে। এটা বুঝতে পেরে ওয়াকিদুজ্জামান ডাবলু মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে ও মালয়েশিয়ার পুলিশে নিকট প্রতারক আবিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার পর আবির পালিয়ে দেশে চলে আসে এবং দেশে এসে ওয়াকিদুজ্জামান ডাবলুকে পূনরায় ব্লাকমেইল করার পরিকল্পনা করতে থাকে। আবির ঢাকায় বসে খুলনায় বিভিন্ন লোকের কাছে কোটি কোটি টাকা পাওনাদার দাবি করে যাহার সঠিক কোন প্রমাণ বা দলিল তার কাছে নাই। ওয়াকিদুজ্জামান ডাবলু উক্ত আবিরকে করোনার খারাপ সময়ে মাসিক বেতনের বাইরে মানবিক কারনে নগদ ৯ লক্ষ টাকা ধার হিসাবে প্রদান করেন এবং সেই টাকা ফেরত চাওয়ার কারনে আবির উল্টো কোটি টাকা দাবি করে গল্প সাজিয়ে বিভিন্ন লোককে বলতে থাকে যাতে ওয়াকিদুজ্জামান ডাবলু সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয়। তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল রাত ১২টার পর ঢাকা থেকে ৫/৬ জন লোক একটি মাইক্রো বাসে ওয়াকিদুজ্জামান ডাবলুর গ্রামের বাড়ী এসে এলাকার লোককে সামনে নিজেদের ডিএসবি ও প্রশাসনের লোক হিসাবে পরিচয় দেয় যেন তার গ্রামের লোক ভয়ে ওয়াকিদুজ্জামান ডাবলুকে খারাপ চোখে দেখে। সেই একই টিম আজ সকালে জাবুসা গ্রামে হানা দিলে সাথে সাথে চৌকস রুপসা পুলিশের টিম সেই ভূয়া ডিএসবি বা ডিবি পরিচয় দান কারিদের গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। তার পর তারা থানায় পুলিশের নিকট সব সত্য প্রকাশ করে যে প্রতারক আব্দুর রহমান আবির তাদের পাঠিয়েছে মিথ্যা বানোয়াট গল্প সাজিয়ে তাই তারা লোভে পড়ে এই কাজ করেছে। তারা দীর্ঘ ৬ ঘন্টা থানায় অবরুদ্ধ থাকার পর তারা থানায় মুসলিকা ও তাদের কৃত কর্মের ভবিষতে যে কোন শাস্তি মেনে নিতে সম্মত হয়। পরে থানার ওসির ব্যবস্থপনায় ওয়াকিদুজ্জামান ডাবলুর সাথে পরামর্শে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। ভবিষ্যতে এই ধরনের কাজ করা থেকে নিজেদের বিরত রাখবে এই মর্মে নিজ নিজ সহি করার পর তাদের ক্ষমা প্রদান করা হয়। উক্ত আব্দুল রহমান আবির সম্পর্কে এলাকার সবাইকে সচেতন থাকার আহবান করা হয়। (আগামীতে বিস্তারিত পত্রিকার পাতায় চোখ রাখুন)।