খুলনা দিঘলীয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা লাভলী মেডাম
সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষা করে কোচিং বাণিজ্যে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি : খুলনা জেলা দিঘলীয়া থানাধীন মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা লাভলী মেডাম সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষা করে স্কুলের ক্লাস রুমে ০৫-০৬-২২ইং তারিখে সকাল ৭.৩০ মিনিটের সময় কোচিং বাণিজ্যে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এলাকার সচেতন মহল গভীর উদ্বেগে ব্যক্ত করে উপজেলা সদরের মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোচিং বাণিজ্যে চলছে, যাহা থানা নির্বাহী কর্মকর্তার নজরের মধ্যে তাছাড়া থানা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার (টিইও) চোখের সামনে। এই সহকারী শিক্ষিকা লাভলী ম্যাডাম কিভাবে কোচিং বাণিজ্যটি চালাচ্ছে তাহা এলাকাবাসীর বোধগম্যের বাহিরে। লাভলী মেডাম তার সৌজন্য সাক্ষাতে অত্র ভ্রাম্যমান প্রতিনিধিদ্বয়ের নিকট ব্যক্ত করে উপজেলার সকল কর্মকর্তার জ্ঞাতসারে সে এই কোচিং বাণিজ্যটি চালাচ্ছে। প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীর ভাষ্য তারা প্রত্যেকেই পাঁচশত টাকা হারে লাভলী মেডামকে প্রদান করে। অত্র পত্রিকার ভ্রাম্যমান প্রতিনিধিদ্বয় ০৫-০৬-২২ ইং তারিখ রোজ-রবিবার সকাল ৭.৩০ মিনিটের সময় সরোজমিনে স্কুলের ক্লাস রুমে উপস্থিত হয়ে দেখতে পায় সহকারী শিক্ষিকা লাভলী মেডাম ২৫/৩০ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে কোচিং বাণিজ্যে ন্যাস্ত আছে। তাৎক্ষনিক কোচিং বাণিজ্যের ছবিটি ক্যামেরায় ধারণ করা হয়। যাহা উপরল্লেখিত ছবিতে প্রমাণিত হয়। নির্ভরযোগ্য সূত্রটি জোরালো কন্ঠে ব্যক্ত করে সকালে-বিকালে দুই ব্যাচে প্রায় ৫০/৬০ জন ছাত্র-ছাত্রীদেরকে নিয়ে প্রাইভেট পড়ানোর বিনিময়ে ২৫/৩০ হাজার টাকা আদায় করছে। স্কুলের ক্লাস রুমে প্রাইভেট পড়ানো যাবে না তাহা লাভলী মেডাম জানা স্বত্বেও উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নলেজে দিয়েই এই কোচিং বা প্রাইভেট বাণিজ্যটি চালাচ্ছে মর্মে ব্যক্ত করে। উপজেলা উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা আদৌ জানে কিনা তাহা এখন বিচার্জের বিষয়। তবে এলাকার সচেতন মহল অনেক আলোচনা-সমালোচনা ও পর্যালোচনা সাপেক্ষে ব্যক্ত করতে চায়, স্কুলের উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে চাকুরী করছে মনে হয়। যেহেতু উপজেলা সদরের মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এহেন বিধি-বহির্ভূত কোচিং বাণিজ্য চলতে পারে না। চলতি দায়িত্বে কর্মরত প্রধান শিক্ষিকা দায় সারাভাবে মোবাইল ফোনে উত্তর দেয় ছাত্র-ছাত্রীদের উন্নয়নের জন্য এই প্রাইভেটটি পড়ানো হচ্ছে-প্রতি উত্তরে অত্র পত্রিকার ভ্রাম্যমান প্রতিনিধিদ্বয় ব্যাখ্যা দেয় তবে পাঁচশত টাকা হারে বাচ্চাদের থেকে আদায় করছেন কেন? তার পরও প্রধান শিক্ষিকা চ্যালেঞ্জ করে ব্যক্ত করে ছাত্র-ছাত্রী থেকে কোন টাকা পয়সা নেওয়া হচ্ছে না। অথচ ছাত্র-ছাত্রীরা প্রাথমিক পর্যায়েই ব্যক্ত করে তাদের থেকে পাঁচশত টাকা হারে গ্রহণ করা হচ্ছে। আরও এক পর্যায়ে মোবাইল ফোনেই আলোচনায় ব্যাখ্যা করা হয় যেহেতু সরকারি স্কুলের ক্লাস রুমে প্রাইভেট পড়ানো বিধি সম্মত নয়, তথাপিও আপনারা সকাল ৭.৩০ মিনিটে ক্লাস রুমের মধ্যেই বিধি-বহির্ভূতভাবে কোচিং বাণিজ্যটি চালিয়ে যাচ্ছেন। আরও এক প্রশ্নের উত্তরে প্রাইভেট বাণিজ্যটি বিধি-সম্মত? নাকি বিধি বহির্ভূত? প্রশ্নের উত্তরে প্রধান শিক্ষিকা ব্যক্ত করে প্রাইভেট পড়ানোটি বিধি বহির্ভূত। যদি আপনাদের জানামতে বিধি বহির্ভূতই হয়, তাহলে এই বিধি বহির্ভূত কোচিং বাণিজ্যটি কেন চালাচ্ছেন তাহা এলাকাবাসীর জিজ্ঞাসা। (আগামীতে বিস্তারিত পত্রিকার পাতায় চোখ রাখুন)।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *