খুলনা ডুমুরিয়া পশ্চিম বিল পাবলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তপন বাবু সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে কোচিং বাণিজ্যে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

ভ্রাম্যমান প্রতিনিধিঃ খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানাধীন পশ্চিম বিল পাবলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তপন বাবু সরকারের নির্দেশনা অমান্য করছে। স্কুলের ক্লাস রুমে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর ২৫/৩০ জন ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে সকাল ৭.৩০ মিনিটের সময় কোচিং বাণিজ্যে সহকারী শিক্ষক তপন বাবু ব্যস্ত। প্রতি ছাত্র-ছাত্রী থেকে পাঁচশত টাকা হারে সকালে এক ব্যাচ এবং বিকালে আরও এক ব্যাচে প্রায় ৩০/৪০ হাজার টাকা আদায় করছে যাহা এলাকাবাসীর ভাষ্য। অত্র পত্রিকার ভ্রাম্যমান প্রতিনিধিদ্বয় সরোজমিনে ইং ০২-০৬.২০২২ তারিখে সকাল ৭.৩০ মিনিটের সময় উপস্থিত হয়ে দেখতে পায় প্রায় ২৫/৩০ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে সহকারী শিক্ষক তপন বাবু প্রাইভেট বাণিজ্যে ন্যাস্ত আছে। তাৎক্ষনিক ভ্রাম্যমান প্রতিনিধিদ্বয় ক্যামেরায় ছবিটি ধারণ করে। যা উপরে উল্লেখিত ছবিতে স্পষ্ট প্রমাণ করে সহকারী শিক্ষকের কোচিং বাণিজ্য। এলাকার সচেতন মহল ব্যক্ত করে প্রধান শিক্ষকের নামও তপন। এই প্রধান শিক্ষক সহকারী শিক্ষক তপন বাবুর কোচিং বাণিজ্যের ভাগ পায়। যেহেতু প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী শিক্ষক দুজনেরই নাম তপন, সেই সূত্রে এলাকার কতিপয় ব্যক্তিরা ব্যক্ত করে প্রধান শিক্ষক তপন বাবু সহকারী শিক্ষকের কোচিং বাণিজ্যটি তদারকি করতে আসে। তবে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনা বড়ই দরকার। যেহেতু স্কুলের ক্লাস রুমে সকাল ৭.৩০ মিনিটে কোচিং বাণিজ্যের কারণে স্কুলের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র ব্যক্ত করে প্রধান শিক্ষকের নির্দেশনা যদি নাইবা থাকে তবে সহকারী শিক্ষক তপন বাবু এই বিধি-বর্হিভূত কার্যক্রমে ন্যাস্ত থাকতে হইতো বা পারতো না। ছাত্র-ছাত্রীদের ভাষ্য প্রধান শিক্ষকের নির্দেশনায় সহকারী শিক্ষক তপন বাবুর কাছে তারা প্রাইভেট পড়ে। পাঁচশত টাকার কম দিলে অনেক রাগারাগি ও বকাঝকা করে। স্কুল সংলগ্ন স্থানীয় দোকানদারদের ভাস্য প্রধান শিক্ষক তপন বাবু এবং সহকারী শিক্ষক তপন বাবু দুজনাই অতিরিক্ত লোভী। যার কারণে এই কোচিং বাণিজ্যটি সরকারের নজরে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ নির্ভিঘেœ চালিয়ে যাচ্ছে। (বিস্তারিত আগামীতে পত্রিকার পাতায় চোখ রাখুন)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *