সৈয়দপুর রেল কারখানার কেপিআই অপারেশনাল এলাকায় নেতার প্রভাবে অবৈধভাবে স্থাপিত সরকারী শিশু কল্যান ট্রাষ্ট স্কুল।

মোতালেব হোসেন : রেলের শহর দূর্নীতি-২য় পর্ব সৈয়দপুর রেল কারখানার ১২নং গেটের সামনে রেল লাইনের পাশে রেলওয়ের অপারেশনাল কেপিআই এলাকার উভয় পাশে রেল লাইন যা মূল গেট এবং পিছনের ১২নং গেট রেললাইন উভয় লাইনের মধ্যখানে ১৫ই জানুয়ারী ২০১৫ সালে রেল কারখানার মিলরাইট শপের এক মিস্ত্রি মোকছেদুল মোমিন টিকিট নং-৬০১৬ চাকুরীরত অবস্থায় কারখানার ডিএস নূর মোহাম্মদ এর আনুকূল্যে উক্ত জায়গাটি দখল করে তার নিজ বাবা শামশুল হক মেমোরিয়াল স্কুল নামে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। চাকরীবিধি লঙ্ঘনকারী উক্ত শ্রমিক নেতা মোকছেদুল মোমিন রেলওয়ের একজন সামান্য মিস্ত্রি হয়ে ঢাকঢোল পিটিয়ে তৎকালীন সময়ের সরকারী দলের নেতাদের ডেকে নিয়ে এসে স্কুল উদ্ধোধন করেন।
স্কুলটি চালু হওয়ার পর তিনি সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসাবে তার আপন ভাইকে নিয়োগ দেন। রেলের উভয় পাশে ঝুঁকিপূর্ণ জমিতে রেল কর্তৃপক্ষের যোগসাজোসে রেলে অপারেশনাল কেপিআই এলাকায় কিভাবে তিনি স্কুল করলেন সেটি বিরাট রহস্য। পরবর্তীতে ২০১৭ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে সরকারীভাবে সমাজের অবহেলিত ও ঝরে পড়া শিশুদের জন্য প্রতিটি উপজেলায় শিশু কল্যান ট্রাষ্টের আওতায় একটি করে স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়। সৈয়দপুরেও তার ব্যাতিক্রম হয়নি কিন্তু স্কুলের স্থান নির্বাচনে হয়েছে ব্যপক অনিয়ম ও দূর্নীতি। সেই শ্রমিক নেতা সরকার দলীয় উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ার সুবাদে অবৈধ প্রভাব বিস্তার করে রেলের সেই অবৈধ দখলকৃত কেপিআই জমিতে শিশু কল্যান ট্রাষ্ট স্কুলটি পরিচালনার জন্য ভাড়া দেন। মজার বিষয় হলো তার বাবার নামে প্রতিষ্ঠিত স্কুলের প্রধান শিক্ষক তার নিজের ভাইকেই বানিয়েছেন শিশু কল্যান ট্রাষ্টের প্রধান শিক্ষক।
এ ব্যাপারে সৈয়দপুর উপজেলার সহকারী শিক্ষা অফিসার নূসরাত জাহানের মোবাইল ফোনে স্কুলের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমরা জায়গাটি শামশুল হক মেমোরিয়াল স্কুলের কাছে ভাড়া নিয়েছি। রেলের জমি কিভাবে আপনারা অন্য একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে ভাড়া নিলেন জানতে চাইলে তনি কোন সদুত্তর দিতে পারেন নাই। আবার এই শিক্ষক কিভাবে দুই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক হলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি নতুন মানুষ আমি এই ব্যাপারে সবকিছু জানিনা। এই ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার শাজাহান মন্ডলের মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন স্কুলটি অনেকদিন পূর্বে ঐ স্থানে ভাড়া নেওয়া হয়েছে যা আমার পূর্ববর্তী অফিসারের সময়ে করা হয়েছে এই ব্যাপারে আমার সঠিক জানা নাই। দুই রেল লাইনের মাঝ দিয়ে কিভাবে বাচ্চারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে যাতায়াত করবে তা বিবেচনা না করেই উক্ত স্থানে সরকারী স্কুলটি পরিচালনা করা বিপদজনক বলে স্থানীয় জনগন মনে করেন।
মোতালেব হোসেন, নীলফামারী অফিস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *