হাইকোর্টে জামিন পাননি বরখাস্তকৃত ডিআইজি মিজান
অপরাধ তথ্যচিত্র ডেস্ক: সম্পদের তথ্য গোপন ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের মামলায় পুলিশের বরখাস্তকৃত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানের জামিন প্রশ্নে রুল উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করেছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মাহবুব শফিক। দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
পরে মাহবুব শফিক বলেন, ফলে তাকে আপাতত কারাগারে থাকতে হবে। এর আগে এ মামলায় তাকে কেন জামিন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। অন্যদিকে ঘুস লেনদেনের মামলায় ৩ বছরের দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করে জামিন পেলেও এ মামলায় জামিন না হওয়ায় তিনি আপাতত কারামুক্ত হত পারছেন না।
২০১৯ সালের ২৪ জুন দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ সংস্থাটির পরিচালক মনজুর মোর্শেদ বাদী হয়ে মামলা করেন। আসামিরা হলেন- মিজানুর রহমান, তার স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না, ভাগ্নে পুলিশের এসআই মাহমুদুল হাসান ও ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান। এজাহারে আসামিদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৩ কোটি ৭ লাখ ৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।
২০১৮ সালে একটি জাতীয় দৈনিকে ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে এক সংবাদপাঠিকাকে জোর করে বিয়ে করার সংবাদ প্রকাশের পর ব্যাপক আলোচনার হয়। ওই ঘটনায় পুলিশ সদর দপ্তরসহ দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
এরপর ডিআইজি মিজানকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনারের পদ থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়। পরে একই বছরের ২৫ জুন তাকে বরখাস্তের কথা সাংবাদিকদের জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এদিকে মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে বিপুল অঙ্কের অবৈধ সম্পদের খোঁজ পায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অনুসন্ধান শেষে তার বিরুদ্ধে মামলার সুপারিশ করে প্রতিবেদন জমা দেন অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির।