সৈয়দপুর পৌরসভা কর্তৃক সরকারী সম্পত্তি আত্মসাৎ এর অপরাধে রেল কর্তৃপক্ষের মামলা।
মোতালেব হোসেন : সৈয়দপুরে পৌরসভার সহিত রেলের বিরোধীয় ২৫.৭৫ একর জমির সীমানা নির্দ্বারনের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা জনাব নুরুজ্জামান সাহেব কর্তৃক স্বারক নং-সূত্রঃ ল্যান্ড/কাঃ ৭ ও ৮/সীমানা নির্দ্বারন/১২/সৈয়দপুর পৌরসভা/২০২১/১৩৭,তারিখ ২৫/১১/২০২১ মেয়র সৈয়দপুর পৌরসভাকে অবহিত করেন যে সৈয়দপুর উপজেলাধীন রেলওয়ের মালিকানাধীন ২৫.৫০ একর ভূমি সৈয়দপুর পৌরসভাকে লাইসেন্স প্রদান করা হয়। কিন্তু উক্ত জমির লাইসেন্স সংক্রান্ত বিয়য়ে রেল কর্তৃপক্ষের সাথে পৌরসভার আইনী বিরোধ সৃষ্টি হয় এতে রেল কর্তৃপক্ষ বিপুল পরিমান রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। গত ২০/১২/২০২১ ইং তারিখে উভয়পক্ষের কানুনগো এবং আমিনের উপস্থিতিতে জমির সীমানা নির্দ্বাারনের দিন ধার্য থাকলেও পৌরসভার মেয়র সা¦াক্ষরিত স্বারক নং-১:১০২৯ ১৫/১২/২০২১ ইং তারিখে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ কৌশলে বিচারাধীন মামলার অযুহাত দেখিয়ে জমির সীমানা নির্দ্বারণের ধার্যকৃত তারিখে উপস্থিত হতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। এতে রেল কর্তৃপক্ষকে সহযোগীতা না করে পৌরসভা রেলের রাজস্ব আয় বৃদ্ধিতে প্রধান প্রতিবন্ধকতা তৈরী করে।
তারই ধারাবাহিকতায় রেলের মাষ্টার ড্রেন দখল করে পৌরসভা কর্তৃক স্থায়ী অবকাঠামো নির্মান শুরু করলে রেলওয়ের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী নির্মান কাজে বাধা প্রদান করেন। কিন্তু সৈয়দপুর পৌরসভা স্থানীয় রাজনৈতিক ক্ষমতার প্রভাব ও বল প্রয়োগ করে মার্কেট নির্মানের কাজ চলমান রাখে। ৭/৪/২০২২ তারিখে কাচারীর আমিন জনাব হীরেন্দ্র নাথ সরকার নির্মান কাজে বাধা প্রদান করলে তার সাথে ঠিকাদারের গুন্ডা পান্ডারা খারাপ আচরন করে। উক্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা ১৩/০৪/২০২২ তারিখে পার্বতীপুর ষ্টেশন এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান শেষে ঘটনাস্থলে আসেন সৈয়দপুর পৌরসভার উক্ত মার্কেটের নির্মান কাজ চলমান থাকায় উর্দ্ধতন কর্মকর্তার নির্দেশ মোতাবেক নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট বাংলাদেশ রেলওয়ে মাইকে কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সৈয়দপুরের পৌরসভার কিছু সুবিধভোগী কমিশনার ও গুন্ডাপান্ডা মিলে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও রেলের ভূসম্পত্তি কর্মকর্তার উপরে বেআইনী জনতা সংঘবদ্ধ হয়ে আক্রমন করে লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করে। দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে এবং তাদেরকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। সরকারী কাজে বাধা সরকারী সম্পদ আত্মসাতের দায়ে সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষন করে উপস্থিত দশ বারোজনসহ অজ্ঞাতনামা কিছু সংখ্যক লোককে আসামী করে সৈয়দপুর থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করার জন্য সৈয়দপুর থানায় ৮নং কাচারীর আমিন জনার হীরেন্দ্র নাথ সরকার সৈয়দপুর থানায় উপস্থিত হয়ে উক্ত আসামীগণের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সংবাদ প্রকাশ হওয়া পর্যন্ত মামলা রেকর্ডভুক্ত হয়েছে কিনা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। ড্রেনের উপর মার্কেট নির্মানের তফসিলঃ জেএল নং-৩৬, মৌজা নিয়ামতপুর, খতিয়ান নং-সিএস-১৩, দাগ নং-১০৫/১০৬/১১৪ অংশ যা বাংলাদেশ রেলওয়ের নামে রেকর্ডভূক্ত।