শেরপুরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নামে বৈধ স্থাপনা ও ব্যবসা
প্রতিষ্ঠান ভাঙ্গচুরের প্রতিবাদ ও ক্ষতিপূরণ দাবী

আলহাজ্ব মাহবুবুর রহমান শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নামে বৈধ স্থাপনা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙ্গচুরের প্রতিবাদে এবং ক্ষতিপূরণ দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীদের দাবী, কোন ধরণের নোটিশ না দিয়েই বৈধ স্থাপনাতে থাকা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ বসতবাড়ী ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। আর তা করা হয়েছে সড়ক ও জনপদের সার্ভেয়ারের দাবীকৃত ঘুষ না দেয়ার কারণে। যদিও সংশ্লিষ্ট দপ্তর বলছে, নিয়ম মেনেই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে অবৈধ স্থাপনাগুলোকে উচ্ছেদ করা হয়েছে।
শেরপুর প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ব্যানারে লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে তারা বলেন, শেরপুরের ফার্নিচার বেচাকেনার অন্যতম মার্কেট পূর্বশেরীতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নামে আমাদের নিজস্ব জায়গায় গড়ে উঠা নাসির ফার্নিচার মার্ট, শেখ সাদী ফার্নিচার মার্ট, স্থানীয় জাহাঙ্গীর হোসেন মাস্টারের বসত বাড়ীসহ বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অনৈতিকভাবে ভাংচুর চালায় সড়ক ও জনপথ বিভাগ। তাতে অন্তত তাদের অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে লিখিত বক্তব্য পাঠকারী ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী এনায়েত আহাম্মেদ বলেন, অভিযান শুরুর আগে সকালে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তা এনামুল হক ঘুষ দাবী করলে, তা না দেয়ার ফলেই তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে এই ভাংচুর চালান। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত করে ক্ষতিপূরণ দাবী করছি।
তবে এ ব্যপারে অভিযুক্ত কর্মকর্তা বলেন, অভিযোগটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। দেশের স্বার্থে, রাষ্ট্রের স্বার্থে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এখানে আমি শুধুমাত্র আমার দ্বায়িত্ব পালন করেছি।
এদিকে সড়ক ও জনপথ শেরপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান বলেন, এখানে আমরা যারা কর্মরত রয়েছি, এখানে তাদের কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নেই, এইগুলো রাষ্ট্রের সম্পত্তি। আর রাষ্ট্রের এই সম্পতি রক্ষার স্বার্থে সময়ে সময়ে আমরা অভিযান পরিচালনা করি। আর অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে সব ধরণের আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করেই অভিযান পরিচালনা করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতেই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। তবুও কেউ যদি মনে করেন তিনি হয়রানীর শিকার হয়েছেন তিনি চাইলে জেলা প্রশাসক কিংবা আমার দপ্তরে অভিযোগ জানাতে পারেন।
উল্লেখ্য, ১০ এপ্রিল দুপুরে সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. জাহিদুল ইসলাম ও সদর থানা পুলিশের নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয়। এসময় প্রায় ৪০ টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হলে অবৈধ দখলদাররা একত্রিত হয়ে সওজ এর সার্ভেয়ার মো. এনামুল হকের উপর চড়াও হয়। এতে সে আহত হয়। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হলে উচ্ছেদ অভিযান স্থগিত করা হয়। এ ব্যাপারে সদর থানায় একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *