নড়াইল, কালিয়া নড়াগাতি, চাপাইল, মুলশ্রী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শামীম স্কুল সমসময়ে কিভাবে দোকানদারী করে জিজ্ঞাসা এলাকাবাসীর।
ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি : নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার নড়াগাতি থানাধীন, চাপাইল, মুলশ্রী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শামীম স্কুল সমসময়ে কিভাবে দোকানদারী করে তাহাই জিজ্ঞাসা এলাকাবাসীর। ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, ০২-এপ্রিল/২২ শনিবার সকাল দশ ঘটিকায় অত্র পত্রিকার ভ্রাম্যমান প্রতিনিধিদ্বয় সরেজমিনে মধুমতি নদীর ব্রীজ সংলগ্ন চাপাইল বাজারে শামীমের দোকানে উপস্থিত হয়ে দেখতে পায় সহকারী শিক্ষক শামীম নির্বিঘেœ দোকানদারী করছে। বিজ্ঞাসাবাদে সে পরিচয় দেয় চাপাইল, মুলশ্রী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তার নাম শামীম। তাৎক্ষনিক আবারও জিজ্ঞাসা করা হয় সকাল ১০টায় আপনি দোকানে বেচা-কেনা করছেন তো স্কুলে যাবেন কখন? প্রতি উত্তরে সে ব্যক্ত করে এখনই স্কুলে চলে যাবো। তড়িঘড়ি করে সে দোকান থেকে বের হয়ে আসে। তাৎক্ষনিক ক্যামেরায় ছবিটি ধারণ করা হলে সে তখনও জোরালো কন্ঠে ব্যক্ত করে এখনই স্কুলে চলে যাচ্ছি। অতঃপর সে স্কুলেই চলে যায়। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সানজিদা ম্যাডামকে স্কুলে যেয়ে জিজ্ঞাসা করা হয় আপনার সহকারী শিক্ষক শামীম স্কুলে যথাসময়ে না এসে তার ব্যক্তিগত ব্যবসা মুদিখানার দোকানে সকাল দশটায় দোকানদারী করছে, ইহাতে আপনার কিছু বলার আছে? প্রতি উত্তরে প্রধান শিক্ষিকা সানজিদা ব্যক্ত করে মাঝে মধ্যেই একটু দেরী করে আসে। যদিও স্কুল থেকে সহকারী শিক্ষক শামীমের দোকানের দূরত্ব খুবই সামান্য। তথাপিও দশটা থেকে সাড়ে দশটার আগেই স্কুলে আসে সহকারী শিক্ষক শামীম ইহায় ব্যক্ত করে প্রধান শিক্ষিকা। এলাকার কতিপয় দোকানদার ব্যক্ত করে শামীম দোকান নিয়েই ব্যস্ত থাকে। সকাল ১০টায় স্কুলে যায় আবার বেলা ১টা থেকে দেড়টার মধ্যে পুনরায় দোকানে এসে দোকানদারী করে। নির্ভরযোগ্য সূত্রটি গভীর আবেগে ব্যক্ত করে করোনা ভাইরাসের সময় সরকারি বেতন-ভাতা পুর্ণাঙ্গরূপে পাওয়ার পরও সারাদিন দোকানদারী করেছে। সে অভ্যাসটা আজও ভুলতে পারে নাই। যদিও সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত স্কুলে থাকতে হবে। তাছাড়া স্কুলের পাশের বেশ কিছু সাধারণ ব্যক্তিরা বলতে চায় স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা ১০টার আগে কেউ স্কুলে আসে না। তবে সহকারী শিক্ষক শামীম স্কুলের কার্যক্রম ফেলে দোকানের কার্যক্রমে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়, যাহা ক্যামেরায় ধারণ করা উপরের ছবিতেই প্রমাণ করে। সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনার জন্য এলাকার সচেতন ও বুদ্ধিজীবি মহল নিউজটি প্রকাশ করার নিবেদন করে। যেহেতু স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের করোনা ভাইরাস সমসময়ে বড়ই ক্ষতি হয়েছে। এমন অবস্থায় শিক্ষিকারা তাদের অবহেলা ও গাফিলতির কারণে এলাকার ছাত্র-ছাত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের মহা ক্ষতি হতে যাচ্ছে। (বিস্তারিত আগামীতে পত্রিকার পাতায় চোখ রাখুন)।