আরও ২ লাশ উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত
অপরাধ তথ্যচিত্র ডেস্ক: শীতলক্ষ্যা নদীতে লঞ্চডুবির ঘটনায় আরও দুটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৮টায় নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার মদনগঞ্জ ও নবীগঞ্জ খেয়াঘাটসংলগ্ন নদী থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করে নৌপুলিশ। এ দুটি লাশ নিয়ে মোট ১১টি লাশ উদ্ধার করা হলো। এদিকে, কার্গোর ধাক্কায় লঞ্চডুবির ঘটনায় উদ্ধার অভিযান এদিন সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। রোববার দুপুরে এমভি রূপসী-৯ এর ধাক্কায় যাত্রীবাহী লঞ্চ এমএল আফসার উদ্দিন অর্ধশত যাত্রী নিয়ে নিমজ্জিত হয়। সোমবার লঞ্চটি উদ্ধার করা হলেও ভেতরে কোনো লাশের সন্ধান পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিএম কুদরত-ই-খোদা উদ্ধার অভিযান সমাপ্তির ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, এদিন আবদুল্লাহ আল জাবের (২৯) ও ১৫ মাস বয়সি শিশু সাফায়াতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ পর্যন্ত আমরা ১১টি লাশ উদ্ধার করেছি। তাদের মধ্যে রয়েছে-চারজন পুরুষ, চারজন নারী ও তিনটি শিশু। তিনি আরও বলেন, প্রত্যেকের পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের নারায়ণগঞ্জের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফীন জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস থেকেও একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।নারায়ণগঞ্জগামী লঞ্চ বন্ধে দুর্ভোগ : চাঁদপুর প্রতিনিধি জানান, শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবির ঘটনায় চাঁদপুর-নারায়ণগঞ্জ রুটে লঞ্চ চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকায় যাত্রীরা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) নির্দেশে এ রুটে সোমবার থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকার খবর না জানায় ঘাটে এসে যাত্রীরা ফিরে যাচ্ছেন। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন মতলব উত্তর উপজেলার যাত্রীরা। বিআইডব্লিউটিএর চাঁদপুর লঞ্চঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) শাহ আলম জানান, লঞ্চডুবির পর চাঁদপুরসহ না.গঞ্জের পাঁচটি রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবির ঘটনায় চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার যুবক আব্দুল্লাহ আল জাবেরের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়। উপজেলার চর দুঃখিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের নতুন রামপুর বাজার এলাকার মাওলানা তাইফুর মৌলভীর ছোট ছেলে জাবের। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগ থেকে মাস্টার্স শেষ করে তিনি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করছিলেন। মঙ্গলবার বাদ জোহর তার লাশ দাফন করা হয়।