সান্তাহারের চিত্র পরিচালক আজিজুর রহমান শায়িত হলেন মায়ের কবরে
আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহারে মায়ের কবরে শায়িত হলেন একাধিক কালজয়ী সিনেমার চিত্র পরিচালক আজিজুর রহমান। তিনি গত ১৪ মার্চ সোমবার বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ১১টার সময় কানাডার টরন্টোর একটি হাসপাতালে ফুসফুস জনিত কারনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি—-রাজেউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ১ ছেলে, ১ মেয়ে, নাতি-নাতনীসহ বহু আত্মীয় স্বজন রেখে গেছেন।
চিত্র পরিচালক আজিজুর রহমানের ভাই মশিউর রহমান মাসুদ বলেন, পারিবারিক ব্যবস্থাপনায় আমার ভাইয়ের মরদেহ দেশে আনা হয়। তাঁকে বহনকারী কার্গো বিমানটি কানাডা থেকে রবিবার দুপুরে ঢাকায় আসে। ওই দিন বাদ আসর ১ম নামাজের জানায়া এফডিসিতে এবং ২য় নামাজের জানায়া রাতে ঢাকার গ্রিন স্কয়ারের নিজ বাসা এলাকায় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল সোমবার সকাল ১১ টায় হেলিকপ্টার যোগে আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার রেলওয়ে ইনস্টিটিউট মাঠে তাঁর মরদেহ নিয়ে আসা হয় এবং ওই দিন বাদ জোহর সাঁতাহার ঈদগাহ মাঠে ৩য় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে মায়ের কবরে শায়িত করা হয়।
উল্লেখ্য, চিত্র পরিচালক আজিজুর রহমান ১৯৩৯ সালের ১০ অক্টোবর বগুড়ার সান্তাহার পৌর শহরের সাঁতাহার মহল্লায় জন্ম গ্রহন করেন। তার পিতার নাম রূপচাঁন প্রামাণিক। তিনি সান্তাহার কলসা আহসানউল্লাহ ইনস্টিটিউট থেকে এসএসসি ও ঢাকা সিটি নাইট কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। চারুকলা আর্ট ইনস্টিটিউটে কমার্সিয়াল আর্টে ডিপ্লোমা করেন। গুনী এই মানুষটি চলচ্চিত্র কর্ম জীবন শুরু করেন ১৯৫৮ সালে। তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র লোক কাহিনী নির্ভর ‘সাইফুল মুল্ক বদিউজ্জামাল’ মুক্তি পায় ১৯৬৭। এরপর তিনি উপহার দিয়েছেন অশিক্ষিত, মাটির ঘর, ছুটির ঘণ্টা, জনতা এক্সপ্রেস, সাম্পানওয়ালা, ডাক্তার বাড়ি, গরমিল ও সমাধান সহ একাধিক সিনেমা পরিচালনা করেন।