সৈয়দপুরের পৌরমেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবীর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার মামলা আমলে নিলেন বিজ্ঞ আমলী আদালত, নীলফামারী।
মোতালেব হোসেন : সৈয়দপুরের পৌর মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবী আওয়ামীলীগের উপর ভর করে গত পৌর নির্বাচনে বিজয়ী হয়েই নানান প্রশ্নের জন্ম দিয়ে চলেছেন। তার স্বামী প্রয়াত আকতার হোসেন বাদল সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক থাকাকালীন তার মৃত্যু হলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বিবেচনায় সৈয়দপুর পৌরসভা নির্বাচনে রাফিকা আকতার জাহান বেবীকে দলীয় মনোনয়ন দিয়ে দলকে কঠোর নির্দেশ দেন তার পক্ষে কাজ করার জন্য। সেই ফলশ্রুতিতে দলীয় সকল নেতাকর্মীদের একান্ত চেষ্টায় গত পৌর নির্বাচনে তাকে নির্বাচিত করা সম্ভব হয়। কিন্তু তিনি পৌরমেয়র নির্বাচিত হয়েই জড়িয়ে পড়েন নানান দূর্নীতিতে। অপমান করতে থাকেন তার নিজ শশুরবাড়ির লোকজন থেকে শুরু করে দলীয় সমস্ত সিনিয়র নেতাদের। দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের তিনি কোন প্রকার মূল্যায়র করেননি। বিএনপি দলীয় গডফাদার সাবেক মেয়র আমজাদ হোসেন সরকার ও তার পূর্ব সিন্ডিকেটের মানুষদের দেখানো পথেই তিনি চলতে শুরু করেন। তাদের কথামতো তিনি পৌরসভার কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে জড়াতে থাকেন একের পর এক দূর্নীতিতে। রেলের জমি দখল, ড্রেন দখল, রেলের রিজার্ভ ট্যাঙ্ক দখল, বিএনপি দলীয় কাউন্সিলরদের প্রাধান্য দিয়ে তাদের কথামতো ট্যাক্স ও টোলের টাকা আত্মসাৎসহ নানান অপকর্মে।
এরই মধ্যে তিনি শহরের পুরাতন বাবুপাড়াস্থ গাউসুল আজম ফারুকীর কাছ থেকে বিল্ডিং এর নকশা অনুমোদনের জন্য চেক মারফত ঘুষ নিয়েছিলেন কিন্তু মেয়রের চেয়ারে বসার পর তিনি গাউসুল আজম ফারুকীর বিল্ডিং এর নকশা অনুমোদন না করে তাকে দীর্ঘদিন নানান ছল বাহানায় ঘোরাতে থাকেন এবং এক পর্যায়ে তার কাছে আরো টাকা দাবী করেন। গাউসুল আজম দীর্ঘদিন অপেক্ষায় থেকে তার বিল্ডিং এর নকশা অনুমোদন করাতে না পেরে শেষমেষ মহামান্য আদালতের শরনাপন্ন হন। তিনি নীলফামারী আমলী আদালতে মেয়র এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে সিআর ১৬৬ নং মামলা দায়ের করেন। ধারা ৪২০/৪০৬ অর্থসাৎ এবং প্রতারণা। আদালত সূত্রে জানা যায় মহামান্য আদালত সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিলে সিআইডি অভিযোগ খতিয়ে দেখে অভিযোগের সত্যতা পায় এবং আজ ১০ই মার্চ আদালতে অভিযোগের সত্যতা রয়েছে মর্মে তদন্ত রিপোর্ট দেন। মহামান্য আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে সৈয়দপুরের পৌরমেয়র রাফিকা আকতার জাহান ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে সমন জারী করেন। এব্যাপারে মেয়রের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি সাংবাদিকের নামে মিথ্যা হয়রানীর মামলা দেন বিধায় তার সাক্ষাতকার নেওয়া সম্ভব হয়নি।