মাগুরার শ্রীপুরে স্কুলের মূল্যবান গাছ বিক্রির টাকা পকেটে পুরলেন হেড মাস্টার

আঞ্চলিক প্রতিনিধি : মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার কোদলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় দেড় লক্ষ টাকার তিনটি গাছ বিক্রি করে প্রধান শিক্ষক সমুদয় টাকা নিজ পকেটে পুরেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে ।

করোনার কারণে স্কুল বন্ধ থাকার সুযোগে গোপনে
বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রি করে দেওয়ায় এলাকাবাসি এবং বিদ্যালয় সংশ্লিষ্টদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তবে প্রধান শিক্ষক তাপস কুমার দত্ত ওই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এখানে কোন গাছই ছিলোনা তবে বিক্রির কথা আসছে কেন।কোথাকার গাছ কার কাছে বিক্রি করে দিয়েছে, আর কে কিনেছে সে বিষয়ে আমার কিছুই জানা নেই।
এলাকাবাসি জানায়, ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত কোদলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বিগত সময়ে নানা জাতের ফলজ ও বনজ বৃক্ষ রোপন করা হয়। এর মধ্যে অন্তত ৪৫ বছর আগে লাগানো দুটি শিশু এবং একটি কাঁঠাল গাছ গোপনে প্রধান শিক্ষক তাপস কুমার দত্ত ফেব্রয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে স্থানীয় কাঠ ব্যবসায়ী সত্তার মুসল্লির কাছে মাত্র ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন। তিন দিন আগে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা মূল্যের ওই গাছগুলো কেটে উপজেলার আমলসার বাজারের সিরাজ মিয়ার করাতকল পর্যন্ত সরিয়ে নিতে আরও ১০ হাজার টাকা ব্যয় করতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন কাঠ ব্যবসায়ী সত্তার মুসল্লি। অথচ গাছ বিক্রির বিষয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি জনতা খাতুনের কিছুই জানা নেই।
জনতা খাতুন বলেন, করোনার কারণে স্কুল বন্ধ রয়েছে। সেখানে এই সময়ে প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণের কোনো গাছ কাটলে কিংবা বিক্রি করে ফেললেও এ বিষয়ে আমাকে কিছু জানান নি।
বৃহস্পতিবার বিকালে সরজমিনে আমলসার বাজারে সিরাজ মিয়ার করাত কলে গিয়ে সেখানে স্কুল প্রাঙ্গণ থেকে কেটে নেওয়া গাছের অনেকগুলো খণ্ড দেখতে পাওয়া যায়। এ সময় সেখানে উপস্থিত কাঠ ব্যবসায়ী সত্তার মুসল্লি বলেন, আমি প্রধান শিক্ষক তাপস বাবুর কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকায় গাছগুলো কিনেছি। সবাই জানে। কিন্তু প্রধান শিক্ষক আমাকে ফোন করে গাছের কথা কাউকে জানাতে নিষেধ করছেন।
তবে গোপনে বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রি করে অর্থ আত্মসাথের বিষয়টি জানাজানি হয়ে পড়ায় এলাকাবাসি এবং বিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা ঘটনার তদন্ত পূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোশাররফ হোসেন বলেন, কোদলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কয়েকটি গাছ কেটে বিক্রি করে ফেলেছেন এটা আমার জানা নেই। তিনি আমাকে কিংবা কাউকেই এ বিষয়ে অবহিত করেন নি। তবে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *