নীলফামারী জলঢাকার শিমুলবাড়িতে জুয়া খেলতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরলেন অমিজার রহমান।
মোতালেব হোসেন : নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার শিমুলবাড়ি ইউনিয়নের বাশদা গ্রামে ও নীলফামারীর শেষ প্রান্ত ভোলার ঘাট এলাকার গোপন আস্তানায় দীর্ঘদিন ধরে চলছিলো জমজমাট জুয়ার আসর। উক্ত আসরে ডোমারের কিছু ব্যবসায়ী জলঢাকা ও নীলফামারী সদরের বেশ কিছু জুয়াড়ীদের জমজমাট জুয়ার আসর চলছিলো। স্থানগুলি হচ্ছে বাশদা গ্রাম ও ভোলার ঘাট চর এলাকা ও বায়ার বাগান। এখানে জুয়াড়ীদের সুবিধা হচ্ছে ডোমারের বোড়াগাড়ি হয়ে সহজে এখানে আসতে পারে, নীলফামারীর রামগঞ্জ হয়ে সহজে আসতে পারে এবং ডিমলার জুয়াড়ীরাও খেড়কাটি দিয়ে খুব সহজে এই জুয়ার আসরে উপস্থিত হতে পারে।
উক্ত জুয়ার আসরে গত ২৪ তারিখ রাত ১২ টায় অটো চালক অমিজার রহমান বয়স ৩৬ পিতা জবান আলী বাশদা মংলুর মোড়ে জুয়া খেলারত অবস্থায় জুয়াড়ীদের অটোতে করে সেখানে নিয়ে যান। এবং তিনিও জুয়া খেলছিলেন। এক পর্যায়ে আকাশে বিদ্যুৎ চমকালে তামাক অধ্যুষিত এলাকার কৃষক বাইরে রোদে শুকাতে দেওয়া তামাক ঘরে ঢুকানোর জন্য দৌড়া দৌড়ি শুরু করলে জুয়াড়ীরা মনে করে পুলিশ এসেছে তাই তারা জুয়ার আসর ভেঙ্গে পালাতে শুরু করে। পালাতে গিয়ে উক্ত অটো চালক নদী পার হয়ে নাদ পাড়ায় এসে তার এক বন্ধুর বাড়িতে পড়ে যায়। সেখানে তাদের কাছে পানি খেতে চাইলে তারা পানি আনতে আনতে তার হার্ট এ্যাটাক হয় এবং সেখানেই মৃত্যুবরন করেন। উক্ত এলাকার জুয়া নিয়ে স্থানীয় খেরকাটি বালারপুকুরসহ একাধিক ব্যবসায়ী অভিয্গো করেন যে উক্ত জুয়্রা আসরে অনেক লোক নিঃস্ব হয়ে গেছে। মৃত অটো চালকও ঐদিন জুয়া খেলে বহু টাকা হেরে গিয়েছে। অনেকে বলছে উক্ত শোকেই সে পালাতে গিয়ে রাস্তায় হার্ট ্এ্যাটাক করে মারা গিয়েছে।
উক্ত জুয়ার আসর সম্পর্কে মাঠ পর্যায়ে একাধিক ব্যক্তির বক্তব্যে ও নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানা যায় পরিচালানা কমিটিতে রয়েছেন স্বয়ং কয়েকজন মেম্বার ময়নুল ইসলাম, খেরকাটি, ধর্মপাল ৩ নং ওয়ার্ড। সেলিম মেম্বার, মীরগঞ্জ, ১নং ওয়ার্ড। রব্বানী মেম্বার, শিমুলবাড়ি। তুহিন মেম্বার ও আসগর ভাটিয়া, পাইটকা পাড়া ৯নং ওয়ার্ড, ধর্মপাল। এবং এদের সঙ্গে স্থানীয় শিমুলবাড়ি ও খেরকাটি এলাকার কতিপয় যুবলীগ নেতা উক্ত সিন্ডিকেটের সাথে সরাসরি জড়িত। তারা প্রশাসনকে প্রতি রাতে মোটা টাকা দিয়ে জুয়ার আসর বসায় বলে অভিযোগ রয়েছে। তারা আরো মোবাইল টেলিফোন করে জানায় আপনারা বাইরের সাংবাদিক আমাদের কিছুই করতে পারবেন না। উক্ত জুয়াড়ীদের সিন্ডিকেট খুবই লম্বা। এই সমস্ত জুয়ার আসরের কারণে সেখানে চলছে দেদারসে মাদকসেবন স্থানীয় যুবসমাজ নষ্ট হচ্ছে, সাধারন মানুষ হচ্ছে নিঃস্ব। এলাকার মানুষ দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপে জুয়ার আসর বন্ধের দাবী করেছেন।