সেনাবাহিনী কে হত্যা করে সন্তু লারমা চুক্তি লঙ্ঘন করেছে।—– কাজী মজিব।

মোঃ মোরশেদ আলম চৌধুরী বান্দরবান প্রতিনিধি : বান্দরবানের রুমায় গত ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ইং তারিখ আনুমানিক রাত ১০:৩০ ঘটিকায় বান্দরবানের রুমা জোনের একটি টহল দল এর সাথে সন্তু লারমা সমর্থিত জেএসএস মূল দলের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গুলি বিনিময়ের ঘটনায় সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমানকে গুলি করে হত্যা এবং সেনা সদস্য ফিরোজকে আহত করার প্রতিবাদে বান্দরবান প্রেসক্লাব চত্বরে ৫ ফেব্রুয়ারী (শনিবার)বিকাল ৩ ঘটিকার সময় বান্দরবান জেলা নাগরিক পরিষদের উদ্যোগে বান্দরবান বাজার এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে আয়োজন করা হয়।

উক্ত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ, কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান কাজী মোঃ মজিবর রহমান। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বান্দরবান জেলা নাগরিক পরিষদের সহ-সভাপতি ক্যাপ্টেন মোঃ তারু মিয়া(অবঃ) বীর মুক্তিযোদ্ধা, বক্তব্য রাখেন জেলা নাগরিক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নাসিরুদ্দিন, সহ-সভাপতি এম রুহুল আমিন, সহ-সভাপতি মাওলানা আবুল কালাম আজাদ। সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা নাগরিক পরিষদের সহ-সভাপতি ও পৌর শাখার সভাপতি শামসুল হক সামু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজালাল (জালাল), সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ নুরুল আবছার, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ কামাল, জেলা মহিলা পরিষদের আহবায়ক রাহিমা বেগমসহ বান্দরবান জেলা, সদর উপজেলা ও পৌরসভা শাখার নাগরিক পরিষদের নেতৃবৃন্দ।

এ সময় বক্তারা বলেন- সন্তু লারমার মদদে জেএসএস সন্ত্রাসীদের একটি দল রুমা উপজেলার বথিপাড়া এলাকায় চাঁদাবাজি জন্য আগমন করবে এমন তথ্যের ভিত্তিতে রাইং খিয়াং লেক আর্মি ক্যাম্প হতে সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবের নেতৃত্বে একটি টহল দল বথি পাড়ার উদ্দেশ্যে গমন করেন। রাত আনুমানিক ১০.৩০ ঘটিকায় টহল দলটি উক্ত এলাকায় পৌঁছালে পাড়ার নিকটস্থ একটি জুম ঘর থেকে সন্ত্রাসীরা অতর্কিত গুলি বর্ষণ করে। জবাবে সেনা টহল দলের সাহসী পাল্টা হামলায় সন্তু লারমার মদদপুষ্ট জেএসএস মূল দলের তিনজন সশস্ত্র সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যায়। এ সময় পলায়নপর সন্ত্রাসীদের এলোপাতারি গুলিতে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে টহল কমান্ডার সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমান ঘটনাস্থলেই শাহাদাত বরণ করেন এবং সৈনিক ফিরোজ নামে এক জন সেনাসদস্য ডান পায়ে গুলিবিদ্ধ হন।
প্রধান অতিথি কাজী মোঃ মজিবর রহমান বলেন- পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির অনুচ্ছেদ (ঘ) এর ধারা অনুযায়ী সকল অস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা দেওয়ার মাধ্যমে তৎকালীন শান্তিবাহিনী সকল সদস্যের আত্মসমর্পণের শর্ত থাকলেও সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএস তা ভঙ্গ করে চুক্তি সম্পাদনের পরবর্তী সময় হতেই সশস্ত্র সন্ত্রাসী লালন করে আসছে। ৩০হাজার বাঙালির খুনী সন্তু লারমা সরকারের বিরুদ্ধে শান্তি চুক্তির শর্ত ভঙ্গ ও বাস্তবায়ন না করার অভিযোগ করে থাকে। বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রামে তৎপর চারটি আঞ্চলিক দল হত্যা, গুম ,চাঁদাবাজি ইত্যাদি দুষ্কৃতিমূলক কর্মকান্ড পরিচালনার মাধ্যমে পাহাড়ের নিরীহ সাধারণ মানুষের জনজীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। পাশাপাশি সশস্ত্র আন্দোলনের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশ হতে বিচ্ছিন্ন করে স্বাধীন জুম্মল্যান্ড সৃষ্টির পায়তারা করছে, যা নিঃসন্দেহে দেশদ্রোহিতার শামিল। এ পরিস্থিতিতে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী বুকের রক্ত দিয়ে হলেও দেশের স্বাধীনতা ও ভূখণ্ডের অখণ্ডতা রক্ষায় বদ্ধপরিকর।

বাংলাদেশের অখন্ডতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নাগরিক পরিষদও অঙ্গীকারাবদ্ধ। নাগরিক পরিষদের দাবি অবিলম্বে দেশরক্ষা বাহিনীর সদস্য বিজিবি সদস্য, পুলিশ সদস্য, নিরীহ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও ৩০ হাজার বাঙালির খুনী সন্তু লারমাকে বিচারের আওতায় এনে ফাঁসি কার্যকর দাবি জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *