মেজর সিনহা হত্যাকাণ্ডে ওসি প্রদীপ কুমার দাশের মৃত্যুদণ্ড
অপরাধ তথ্যচিত্র ডেস্ক : সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার রায়টি ৩০০ পৃষ্ঠার। সোমবার দুপুর ২টা ২৫ মিনিটের দিকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল এ রায় পড়া শুরু করেন।রায় পড়াকালে বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘আমি মেজর সিনহা হত্যা মামলাটির বিভিন্ন ইস্যু ও খুঁটিনাটি খোঁজার চেষ্টা করেছি। এ সময় এপিবিএন’র তিনজন সদস্য দায়িত্বে ছিলেন। এ তিনজনই প্রথমে সিনহার গাড়িটি আটকানোর পর ছেড়ে দেন। কিন্তু পুনরায় পুলিশ কী কারণে আটকালেন তাদের? তাও মাত্র ১০ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে মেজর সিনহাকে লক্ষ্য করে গুলি করলেন- এতেই প্রমাণিত হয়, সিনহা হত্যা একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।’বিচারকের পর্যবেক্ষণে আরো উঠে আসে সিনহার সহযোগী সাহেদুল ইসলাম সিফাতের স্বাক্ষ্যের বিবরণীতে ৪ রাউন্ড গুলি করে লিয়াকত আলী। এ ছাড়াও লিয়াকতের জবানবন্দিতে রয়েছে, ওসি প্রদীপ সিনহার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছিলেন। তদুপরি সিনহার হাতে পিস্তল আছে ভেবে লিয়াকত গুলি করার কথা স্বীকার করেছেন।শেষ পর্যন্ত ওসি প্রদীপ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সিনহার বামপাশে লাথি মারেন এবং সিনহা নিস্তেজ হয়ে যান।কক্সবাজার আদালত সোমবার সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যার মামলায় পরিদর্শক মো. লিয়াকত আলী (৩১) ও ওসি প্রদীপ কুমার দাশের (৪৮) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। একই সঙ্গে আদালাত মামলার ছয় আসামিকে যাবজ্জীবন দিয়েছেন।তারা হলেন- এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাগর দেব, রুবেল শর্মা, পুলিশের সোর্স নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দিন ও আয়াজ উদ্দীন।এদিকে মামলায় এপিবিএন’র তিন সদস্যসহ সাতজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন- এপিবিএনের এসআই শাহজাহান আলী, কনস্টেবল মো. রাজীব, মো. আব্দুল্লাহ, পুলিশের কনস্টেবল সাফানুল করিম, কামাল হোসেন, লিটন মিয়া ও পুলিশের কনস্টেবল আব্দুল্লাহ আল মামুন।এর আগে ২টার দিকে এই মামলার ১৫ আসামিকে কঠোর নিরাপত্তায় আদালত চত্বরে আনা হয়। দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে রায় পড়া শুরু করেন কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাঈল।