দুদকের মামলায় ভুয়া ৭ চিকিৎসক গ্রেফতার
অপরাধ তথ্যচিত্র ডেস্ক: এমবিবিএস পাশের ভুয়া সনদ ব্যবহার করে ডাক্তার হিসাবে রেজিস্ট্রেশন নেওয়া সাতজনকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচা থেকে তাদের গ্রেফতার করে দুদকের উপ-পরিচালক সেলিনা আখতার মনির নেতৃত্বাধীন একটি টিম।এরা হলেন-ইমান আলী, সুদেব সেন, তন্ময় আহমেদ, মোক্তার হোসেন, মো. কাওছার, রহমত আলী ও মাসুদ পারভেজ। তারা চীনের তাইশান মেডিকেলের এমবিবিএস পাশের ভুয়া সনদ নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত ছিলেন।দুদক সূত্র জানায়, ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর ভুয়া ১২ চিকিৎসক ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। গত ৩ জানুয়ারি আসামি মাহমুদুল হক হাইকোর্টে আগাম জামিন চাইতে যান। আদালত তার জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একইসঙ্গে বাকি আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের নির্দেশ দেন।
মামলার ১৪ আসামির মধ্যে দুজন হলেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার মো. জাহিদুল হক বসুনিয়া ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন। বাকি ১২ জন বাংলাদেশি চীনের তাইশান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিবিএস পাশের ভুয়া সনদ দেখিয়েছেন। ফলে তাদেরও আসামি করা হয়। তারা হলেন-কুমিল্লা জেলার মো. ইমান আলী ও মোহাম্মদ মাসুদ পারভেজ, সাতক্ষীরার সুদেব সেন, টাঙ্গাইলের তন্ময় আহমেদ, ভোলার মো. মাহমুদুল হাসান, চাঁদপুরের মো. মোক্তার হোসাইন, ঢাকার মো. আসাদ উল্লাহ, গাজীপুরের মো. কাউসার, নারায়ণগঞ্জের রহমত আলী, বাগেরহাটের শেখ আতিয়ার রহমান, ফেনীর মো. সাইফুল ইসলাম ও সিরাজগঞ্জের মো. আসলাম হোসেন।এ প্রসঙ্গে দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, রেকর্ডপত্র যাচাইকালে দেখা যায়, তাদের এমবিবিএস সার্টিফিকেটগুলো ভুয়া। ওই ব্যক্তিরা কখনো চীনের তাইশান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেননি। অভিযান চালিয়ে সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর সঙ্গে সম্পৃক্তদের তদন্তে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে জালজালিয়াতি ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভুয়া এমবিবিএস সনদ ব্যবহারের মাধ্যমে চিকিৎসক হিসাবে রেজিস্ট্রেশন সনদ গ্রহণ করেন। চীনের বেইজিংয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে ওই সনদপত্রগুলো যাচাইপূর্বক বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ইস্ট এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক সেকশনে গত ২০১৯ সালের ২১ জানুয়ারি দুদকে রেকর্ডপত্র পাঠায়। প্রাপ্ত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় তাদের সনদগুলো ভুয়া প্রমাণিত হয়।অন্যদিকে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের সার্টিফিকেট যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কোনো প্রকার সতর্কতা বা নিয়ম-নীতি অনুসরণ করা হয়নি। বিএমঅ্যান্ডডিসি কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. বোরহান উদ্দিন ও রেজিস্ট্রার মো. জাহিদুল হক জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে সৃষ্ট ডকুমেন্টসগুলো সম্পর্কে তারা জ্ঞাত ছিলেন।