বেনাপোল বন্দরে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ

মসিয়ার রহমান কাজল, যশোর যশোর প্রতিনিধি : পাশ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে বেনাপোল বন্দরে আসা যাত্রী এবং পন্যবাহী ট্রাকের চালক ও হেলপারের মাধ্যমে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বেনাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ।

এ লক্ষ্যে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের পরিচর্যায় ইমিগ্রেশনে স্বাস্থ্য বিভাগের একটি বিশেষ টিম সার্বক্ষনিক কাজ করে যাচ্ছে।

বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানি গেটে সরেজমিনে দেখা যায় ভারত থেকে আমদানিকৃত পন্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করার সাথে সাথে বন্দরে নিয়োজিত আনসার সদস্যরা জীবানু নাশক স্প্রে দিয়ে ধুয়ে দিচ্ছে এবং চালক ও হেলপারকে থার্মমিটার দিয়ে তাদের শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করছে।

মাস্ক বিহীন কাউকে বন্দরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।

ভারত থেকে আসা পাসপোর্ট যাত্রীদের মাস্ক এবং আরটি-পিসিআর করোনা টেস্ট ছাড়া কাউকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। হেলথ অফিসার কর্তৃক ডিজিটাল থার্মাল স্ক্যানিং এর মাধ্যমে নিরাপদ ঘোষণা হলেই প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।

করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, নোংরা হাত দিয়ে নাক, কান ও মুখমন্ডল স্পর্শ না করা, আক্রান্ত ব্যাক্তি থেকে দূরে থাকা ইত্যাদি বিষেয়ে সতর্কীকরণ প্রচারণার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক মামুন কবির তরফদার জানান, বিশ্বে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের সংক্রমণ বেড়েই চলেছে।

বেনাপোল বন্দরকে সার্বিক সুরক্ষার লক্ষ্যে ভারতীয় ট্রাক চালক ও হেলপারদের মাস্ক ছাড়া বন্দরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। আর একবার বন্দর অভ্যন্তরে ঢুকলে মালামাল খালাস না হওয়া পর্যন্ত বাইরে আসতে দেওয়া হচ্ছে না। বন্দরের প্রবেশ দ্বারে শরীরের তাপমাত্রা পরিক্ষা করা হচ্ছে। তাপমাত্রা বেশি থাকলে বন্দরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।

বেনাপোল ইমিগ্রেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ডা. বিচিত্র মল্লিক জানান, ভারত থেকে আসা প্রত্যেক যাত্রীকে ডিজিটাল থার্মাল স্ক্যানিং করা হচ্ছে। মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও সাবান পানি দিয়ে হাত পরিস্কার করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এরপর আরটি-পিসিআর সনদ পরিক্ষা করে ঢোকার অনুমতি দেয়া হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *