ডিআইজি প্রিজন পার্থ গোপালের ৮ বছরের কারাদণ্ড
অপরাধ তথ্যচিত্র ডেস্ক : ঘুসগ্রহণ ও মানি লন্ডারিং (অর্থপাচার) আইনের পৃথক ধারায় তাকে এ সাজা দেওয়া হয়।
এর আগে গত ২৭ ডিসেম্বর একই আদালতের বিচারক রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন। মামলায় বিভিন্ন সময় আদালতে ১২ জন সাক্ষ্য দেন।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৯ সালের ২৯ জুলাই ডিআইজি পার্থর বিরুদ্ধে মামলার সুপারিশ করে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। প্রতিবেদন পর্যালোচনা শেষে ওই দিনই তার বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) মামলাটি করা হয়। মামলা ও গ্রেফতারের পরিপ্রেক্ষিতে একইদিন তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ২৪ আগস্ট দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন আদালতে মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন।
চার্জশিটে বলা হয়, পার্থ বণিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঘুসের মাধ্যমে অর্জিত অর্থ পাচারের উদ্দেশ্যে নিজ বাড়িতে সংরক্ষণ করছেন বলে তথ্য পায় দুদকের অনুসন্ধান টিম। ২০১৯ সালের ২৮ জুলাই পার্থ দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এসে অভিযোগের বিষয়ে তার বক্তব্য দেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি জানান, তার বাসায় নিজ হেফাজতে ৩০ লাখ টাকা রয়েছে। ওই অর্থের উৎস সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি। অর্থাৎ ওই অর্থ তার জ্ঞাতআয়বহির্ভূত অবৈধ অর্থ বলে প্রতীয়মান হয়।
তাৎক্ষণিকভাবে তাকে নিয়ে অনুসন্ধান টিম ঢাকার কলাবাগান গ্রিন রোডের তার আবাসিক বাসায় (ডমিনো প্লানেটা, বি-৬, ২৭-২৮ নর্থ রোড) অভিযান চালায়। অভিযানে তার বাসা থেকে ৮০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। প্রকৃতপক্ষে তিনি সরকারি দায়িত্ব পালনকালে ঘুস, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে ওই অর্থ উপার্জন করেছেন। ২০২০ সালের ৪ নভেম্বর চার্জ (অভিযোগ) গঠনের মাধ্যমে এ মামলায় আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়। ১৬ নভেম্বর এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। ২৪ নভেম্বর আত্মপক্ষ শুনানিতে আদালতের কাছে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন পার্থ। মামলায় ১৪ সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে।