ডিআইজি প্রিজন পার্থ গোপাল বণিকের মামলার রায়ের দিন ধার্য
অপরাধ তথ্যচিত্র ডেস্ক : ঘুসের ৮০ লাখ টাকাসহ গ্রেফতার সিলেট কারা কর্তৃপক্ষের ডিআইজি (সাময়িক বরখাস্ত) পার্থ গোপাল বণিকের মামলার রায়ের দিন ধার্য করা হয়েছে। আগামী ৯ জানুয়ারি ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করবেন।সোমবার দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে রায়ের এই দিন ঠিক করা হয় বলে পার্থর আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী জানিয়েছেন। যুক্তিতর্ক শুনানিতে পার্থর আইনজীবী সমাজী বলেন, যে ৮০ লাখ টাকা উদ্ধারের কথা বলা হচ্ছে, সেটা তার ও তার মায়ের নামের টাকা। তার টাকা ৫০ লাখ, অবশিষ্ট টাকা মায়ের। এটা বৈধভাবে উপার্জিত।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল এর বিরোধিতা করেন ।
২০২০ সালের ৪ নভেম্বর ডিআইজি পার্থর বিরুদ্ধে চার্জ (অভিযোগ) করেন আদালত। এর আগে গত বছরের ২৪ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন আদালতে মামলার চার্জশিট দাখিল করেন।
চার্জশিটে বলা হয়, পার্থ গোপাল বণিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঘুসের মাধ্যমে অর্জিত অর্থ পাচারের উদ্দেশ্যে নিজ বাড়িতে সংরক্ষণ করছেন বলে তথ্য পায় দুদকের অনুসন্ধান টিম। ২০১৯ সালের ২৮ জুলাই পার্থ দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এসে অভিযোগের বিষয়ে তার বক্তব্য দেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি জানান, তার বাসার নিজ হেফাজতে ৩০ লাখ টাকা রয়েছে। ওই অর্থের উৎস সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি। অর্থাৎ ওই অর্থ তার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত অবৈধ অর্থ বলে প্রতীয়মান হয়।
তাৎক্ষণিকভাবে তাকে নিয়ে অনুসন্ধান টিম ঢাকার কলাবাগান গ্রিন রোডে তার আবাসিক বাসায় (ডমিনো প্লানেটা, বি-৬, ২৭-২৮ নর্থ রোড) অভিযান চালায়। অভিযানে তার বাসা থেকে ৮০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। প্রকৃতপক্ষে তিনি সরকারি দায়িত্ব পালনকালে ঘুস, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে ওই অর্থ উপার্জন করেছেন।
২০১৯ সালের ২৯ জুলাই পার্থ বণিকের বিরুদ্ধে মামলার সুপারিশ করে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। প্রতিবেদন পর্যালোচনা শেষে তার বিরুদ্ধে ওইদিনই দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) মামলাটি করা হয়।মামলা ও গ্রেফতারের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে ওইদিনই চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন।