খুলনার দৌলতপুর সরকারি মহাসিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আশীষ বাবু মরণব্যাধী করোনা ভাইরাসের সমসময়ে বিধিবহিঃর্ভূতভাবে কোচিং বাণিজ্যে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিছে|

ভ্রাম্যমান প্রতিনিধিঃ খুলনা জেলার দৌলতপুর থানাধীন সরকারি মহাসিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আশীষ বাবু মরণব্যাধী করোনা ভাইরাসের সমসময়ে বিধিবহিঃর্ভূতভাবে শত শত ছাত্র/ছাত্রীদেরকে নিয়ে কোচিং বাণিজ্যে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিছে মর্মে জানা যায়। মোট ৫টি ব্যাচে সকালে ৩টা বিকালে ২টা। এক এক ব্যাচে ২০ থেকে ২৫ জনের মধ্যে প্রতি ছাত্র/ছাত্রী থেকে এক হাজার টাকা হারে আদায় করেছে । যাহাতে লক্ষাধিক টাকা নির্মমভাবে আদায় করা হয়েছে । এলাকার সচেতন মহল ব্যক্ত করে সরকারি স্কুলে চাকুরী করে সরকার প্রদত্ত বেতন-ভাতা যথানিয়মে পাওয়া সত্বেও অতিলোভের কারণে এই সহকারী শিক্ষক আশীষ বাবু করোনা ভাইরাসকে তোয়াক্কা না করে লক্ষ লক্ষ টাকা আদায় করেছে যাহা সম্পূর্ণ বিধিবহিঃর্ভূত । ছাত্র/ছাত্রীদের এক সৌজন্য সাক্ষাতে জানা যায় স্কুলের সহকারী শিক্ষক আশীষ বাবুর নিকট প্রাইভেট না পড়লে তার বিষয়ের খাতায় নম্বর দেয় না। সে কারণে আশীষ স্যারের কাছেই পড়তে হয়। সরোজমিনে আশীষ বাবুর কোচিং সেন্টারে ৩০ আগষ্ট/২০২১ সকাল ৯ ঘটিকায় উপস্থিত হয়ে দেখা যায় তৃতীয় ব্যাচে ছাত্র/ছাত্রী নিয়ে সহকারি শিক্ষক আশীষ বাবু আজ ও পর্যন্ত ব্যস্ত আছে । তাৎক্ষণিক ক্যামেরায় ছবিটি ধারণ করা হলে আশীষ বাবু তড়িঘড়ি করে ব্যক্ত করেন প্লিজ সরি। আশীষ বাবুকে আরও এক সৌজন্য সাক্ষাতের মাধ্যমে জিজ্ঞাসা করা হয় আপনি সরকার প্রদত্ত বেতন-ভাতা যথানিয়মে পাচ্ছেন তথাপিও এই করোনা ভাইরাস পিরিয়ডে যেখানে সরকার দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে অর্থাৎ কোন ছাত্র/ছাত্রীদেরকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বসাতে পারছে না সেখানে আপনি কিভাবে এই ৭/৮টি বেঞ্চে ২০/২৫ জন ছাত্র/ছাত্রী প্রতিদিন সকাল বিকালে বিধিবহিঃর্ভূতভাবে বসাতে পারলেন? প্রতি উত্তরে সহকারী শিক্ষক আশীষ বাবু তখন আবারও ব্যক্ত করেন প্লিজ সরি। একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জোরালো কন্ঠে ব্যক্ত করে আশীষ বাবুর কোচিং সেন্টারে কোচিং বাণিজ্যের মধ্যে প্রধান শিক্ষকের কোন রকম উৎসাহ, উদ্দিপনা বা সহযোগিতা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা দরকার। নিতান্তই যদি প্রধান শিক্ষকের কোন প্রকারের হাত নাইবা থাকে তবে এতগুলো ছাত্র/ছাত্রী কি করে দৌলতপুর কুলিবাগান থানার অতি নিকটে কোচিং সেন্টারটি খুলে আশীষ বাবু নির্বিঘ্নে অদ্যবদি পর্যন্ত কোচিং বাণিজ্যটি চালিয়ে যাচ্ছে তাহাই এলাকাবাসীর জিজ্ঞাসা? উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনা অতীব জরুরী। (বিস্তারিত আগামীতে পত্রিকায় চোখ রাখুন)।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *