এলাকায় তুমুল জনপ্রিয় অনলবর্ষী বক্তা চট্টগ্রামের ১৪ নং লালখান বাজার ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর কবির আহম্মদ মানিক
মুহাম্মদ রেজাউল করিম : স্পেশাল রিপোর্টার, চট্টগ্রাম। ১৪নং লালখাঁন বাজার ওয়ার্ডের সম্মানিত সাবেক কাউন্সিলর জনাব এ.এফ. কবির আহম্মেদ মানিক ভাই আমার জীবনে দেখা হাজার মানুষের মাঝে এক সীমাহীন কর্মী বান্ধব, পরম বাস্তববাদী এক স্বনামধন্য মানুষের নাম। সুর্দীঘ ১৫টি বছর কাউন্সিলর থাকাকালীন সময়ে এলাকার ধনী-গরীব, সকলের জন্য রাত-দিন, যার পর নাই আন্তরিকতার সাথে নিজের পরিবার-পরিজন, আত্মীয়স্বজনকে সময় না দিয়ে জনস্বার্থ্যে নিজের স্বার্থকে বিসর্জন দিয়ে কাজ করেছেন। একজন কাউন্সিলরের কাছে এলাকাবাসীর যত রকমের আবদার থাকে মানিক ভাই তার সকল বৈধ আবদার পূরণ করা এক বর্ষীয়ান নেতা। জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক বলতে যা বুঝায় মানিক ভাইয়ের ভেতরে ও বাহিরে সেই মানবিক বৈশিষ্ট্যর কোনই কমতি নাই। একটি আপেল ১০ ভাগ করে কর্মীদের সাথে খেয়েছেন এই সরলমনা মানুষটি বরমাপের একটি পেয়ারা ১৭ জন কর্মীকে নিয়ে ভাগ করে দেওয়ার সময় রসিক ঘনিষ্ঠএককর্মী তাকে প্রশ্ন করলেন- এখন যদি আরও নেতাকর্মী আসে তাহলে কী করবেন? তিনি মৃদু হেসে বললেন- সবাই মিলে ভাগ করে খাবো। এই ধরনের কর্মী বান্ধব ত্যাগী নেতার বর্তমান সমাজে বড়ই অভাব। চট্টগ্রামের গণমানুষের প্রয়াত নেতা সর্বজন শ্রদ্ধেয় এ.বিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর বাস ভবনে দলমত, জাতি, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের সরব উপস্থিতি ছিল ঠিক তেমনি এক আদর্শিক নেতার নাম এএফ কবির আহম্মেদ মানিক কবির আহম্মেদ মানিক। দীর্ঘদিন একটি মহান দায়িত্বে থাকার সুবাদে তিনি নিজের অনিষ্ঠকারীকে তিনি বিশ্বাস করে বুকে টেনে মায়ার জালে আবব্ধ রেখেছেন এটাই তার অপরাধ। আর না হয় কে আপন, কে পর না ভেবে সমানতালে দীর্ঘ প্রায় ১৫টি বছর নিজের ব্যক্তি জীবনের আরাম-আয়াস, অসুখ বির্সজন দিয়ে জনসেবা করে আসা মানুষটির আজ অনেক কিছুই থাকতো পারতো। প্রকৃতপক্ষে তার অতি কাছের মানুষগুলোর সাথে এমনকি তার প্রতি প্রতিপক্ষের লোকজন এবং সাধারণ আমজনতার সাথে গোপন ও প্রকাশ্যে সঠিক প্রতিবেদন উপস্থাপনের স্বার্থে কথা বলে জানতে পারলাম মানিক ভাইয়ের আসলে তার তেমন অঢেল সম্পদ নেই। পৈত্রিক সূত্রে এবং একজন কাউন্সিলর হিসেবে বৈধ উপায়ে যতটুকু সম্পদ থাকতে পারে উনারও তাই আছে। আর তা যদি না থাকে উনি গরীব-দুঃখী মেহনতি মানুষের সাহায্যে এগিয়ে যাবে কি নিয়ে? এটা অনেকের সরল মন্তব্য, আবারও অতীতে ফিরে যাই। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দরজা খুলে ঘুমাতেন, আর সভা-সমাবেশে মানুষকে প্রশ্ন করতেন- তোমরা আমাকে এত ভালবাসো কেন? হ্যা! ঠিক তেমনি বঙ্গবন্ধুর একজন আদর্শের সৈনিক ১৪নং লালখাঁন বাজার ওয়ার্ডের বারবার নির্বাচিত সাবেক সফল কাউন্সিলর এ.এফ. কবির আহম্মেদ মানিক ভাই। এই রিপোর্ট লেখার পূর্বে ছায়া তদন্তে সাধারণ মানুষের মত যখন তার বাসায় যাই তখন তার উপর দুদকের একটি অভিযোগের তদন্তের অনুসন্ধান চলমান, ঠিক তেমনি একটি সময়েও বাসার কাজের লোক থেকে শুরু করে অতিথি, আগত পাড়া-প্রতিবেশী, ভক্ত সমর্থক, কারো মাঝেই ভয় বা আতঙ্কের কোন ছাপ দেখতে পেলাম না। আমি কৌতুহল বশত এক পর্যায়ে উক্ত বিষয়টিতে তার স্ত্রী অত্যন্ত বিনয়ী মার্জিত ব্যবহারের অধিকারিনী ধার্মিক ও সু-শিক্ষিত নারী মিসেস তাহেরা কবিরকে প্রশ্ন করলে তিনি স্বভাব সুলভ হাস্যোজ্জ্বল মুখে উত্তর দিলেন আসলে সবিই আল্লাহ পাকের ইচ্ছা। এখানে কিছু বলার নেই কারো প্রতি কোন মান-অভিমান বা ক্ষোভ নেই। আল্লাহপাক যা ভাল মনে করেন তাই হবে কারো দোষ দেব না। সবিই আল্লাহপাক দেখবেন এই বলে তিনি ভেতরের রুমে আসরের নামাজ আদায় করে আবার ফিরে এসে শিশুসুলভ ভঙ্গিতে হাসতে হাসতে বললেন আসলে রেজাউল ভাই আমরাতো মানুষ! ফেরেস্তা তো আর না ভূলক্রুটি হতে পারে, তবে আমার জানামতে মানিক কারো সাথে জুলুম-অবিচার করেনি, এটা আমি তার স্ত্রী না একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে বললাম। ব্যক্তি জীবনে ২ ছেলে ২ মেয়ের জনক কাউন্সিলর মানিক ভাই তার অন্তরে-বাহিরে একই নীতি ধারণ করেন যাকে যা বলেন সরাসরি সেখানে কি নিজের স্ত্রী, কি ছেলে মেয়ে, কি আত্মীয় স্বজন, নেতাকর্মী সবার জন্য একিই নিয়ম ধারণ করা এ মানুষটি রাজনৈতিক, সামাজিক এবং সাংসারিক জীবনেও সফল এবং সুখী। ছেলে-মেয়েরা সবাই উচ্চ-শিক্ষিত এবং অত্যন্ত ধার্মিক ও মিশুক, সবকিছু মিলে একটি সুখী সুন্দর পরিপাটি আদর্শ পরিবার যা বর্তমান সমাজে খুজে পাওয়া দায়। এমন একটি পরিবারকে কোন ঠুনকো বিষয়ে বিতর্কিত না করে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করতে এই পোড়খাওয়া দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত ত্যাগী বিশ্বস্ত নেতাদেরকে মূল্যায়ণ করা এখন সময়ের এবং তৃণমূলের নেতাকর্মী সকলের দাবী।