বিস্তর অভিযোগ তবুও বহাল ৪২ কারা কর্মকর্তা
বিশেষ প্রতিনিধি: অপকর্মের বিস্তর অভিযোগ থাকার পরও গুরুত্বপূর্ণ পদে বহাল আছেন কারা অধিদপ্তরের ৪২ শীর্ষ কর্মকর্তা। তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে নারী কেলেঙ্কারি, ভুল জামিনে বন্দি মুক্তি, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ। এছাড়া আছে দায়িত্বে অবহেলায় বন্দি পলায়ন, টাকার বিনিময়ে বন্দিদের সঙ্গে স্বজনদের সাক্ষাৎ এবং বন্দিদের খাবারে অনিয়মের অভিযোগও। ওইসব কর্মকর্তার বেশির ভাগই জেল সুপার ও জেলার এবং দুজন ডিআইজি পদমর্যাদার কর্মকর্তা। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব সিকিউকে মোসতাক আহমদ বলেন, কারও বিরুদ্ধে কোনো গুরুতর অভিযোগ উঠলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া। ওই কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত বা ওএসডি অবস্থায় রেখে অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া জরুরি। কিন্তু কর্তৃপক্ষ যদি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত না করেন তাহলে ওই কর্মকর্তার কাজ চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা নেই। তবে বিষয়টি নৈতিকভাবে ঠিক নয়।
অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল আবরার হোসেন বলেন, যেসব কারা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে, সেগুলো নিয়ে তদন্ত চলছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে অবশ্যই যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কারা অধিদপ্তরের অধীনে সারা দেশে ৬৮টি কারাগার আছে। সে অনুযায়ী উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা খুবই কম। তাই কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ এলেই যদি তাকে কাজ থেকে বিরত রাখা হয়, তাহলে কাজ করার লোকই পাওয়া যাবে না। তাই যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে, অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনায় তাদের অনেককে স্বপদে বহাল রাখা হয়েছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তাদের একজন হলেন সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের ভারপ্রাপ্ত ডিআইজি (প্রিজন্স) কামাল হোসেন। গত বছর চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কাগারারের সিনিয়র জেল সুপার হিসাবে দায়িত্বে থাকাকালে তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ নানা অভিযোগ ওঠে। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, টাকার বিনিময়ে জঙ্গি ও কারাবন্দি বিএনপি নেতাকর্মীদের অবৈধ সুবিধা দেন কামাল হোসেন। কারাগারে জেলকোড অনুযায়ী বন্দিদের মানসম্পন্ন খাবার দেওয়া হয় না। সরবরাহকারীদের কাছ থেকে কমিশন নিয়ে নিুমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। কারাগারের ভেতর মাদক সরবরাহের সুযোগ করে দেন কামাল হোসেন। আদালতে হাজিরা থাকলে জেলকোড অনুযায়ী বন্দিদের দুপুরের খাবার বাবদ টাকা দেওয়ার বিধান থাকলেও কামাল হোসেনের নির্দেশে তা দেওয়া হচ্ছিল না। আমি এর প্রতিবাদ করার পর থেকে জনপ্রতি ২৬ টাকা করে দেওয়া হয়। সাধারণ বন্দিদের চেয়ে চিহ্নিত অপরাধীদের মোবাইল ফোনে কথা বলার সুযোগ দেন বেশি। কারা অভ্যন্তরে প্রতিবাদ করায় আমি কামাল হোসেনের রোষানলের শিকার হয়েছি।
কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে আনা নানা অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে গত ফেব্রুয়ারিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গত ফেব্রুয়ারিতে কারা মহাপরিদর্শককে নির্দেশ দেন। এছাড়া কামাল হোসেনকে প্রত্যাহার করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষ থেকে কারা মহাপরিদর্শককে গত ৭ জুলাই চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু এখনো তার বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এদিকে অভিযোগ তদন্তাধীন থাকা অবস্থায় কামাল হোসেনকে ২০২০ সালের অক্টোবরে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের ভারপ্রাপ্ত ডিআইজি (প্রিজন্স) হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কামাল হোসেন বলেন, দুদক কেবল আমার একার বিরুদ্ধে নয়। সিনিয়র-জুনিয়র আরও অনেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চালাচ্ছে। দুদকের চিঠির পরিপ্র্রেক্ষিতে কারা অধিদপ্তরের তদন্ত কমিটি ইতোমধ্যে একটি প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় এখনো কোনো সিদ্ধান্ত দেননি। তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রামের খুলশী এলাকার দিদারুল আলম নামের এক বন্দি আমার কাছে অবৈধ সুযোগ-সুবিধা চেয়েছিলেন। আমি তা দেইনি। এ কারণে তিনি মুক্ত হওয়ার পর আমার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেছে। ওই বন্দি কারা অভ্যন্তরে কারারক্ষীর ওপর হামলা চালিয়েছিল বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
আরও জানা গেছে, গত এপ্রিলে শরীয়তপুর জেলা কারাগারে ভারপ্রাপ্ত জেলার থাকা অবস্থায় ভুল জামিনে বন্দি মুক্তি দিয়েছিলেন আমিরুল ইসলাম। আদালত থেকে জামিন পেয়েছিলেন লিটন শিকদার নামের এক বন্দি। কিন্তু জামিন দেওয়া হয় লিটন ফরাজি নামের অপর এক বন্দিকে। এ ঘটনায় জেলার আমিরুল ইসলামকে গত ৬ এপ্রিল ঢাকা বিভাগীয় কারা উপমহাদর্শকের কার্যালয়ে ন্যস্ত করা হয়। এর দেড় মাস পর গত ২৫ মে তাকে অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ ভোলা জেলা কারাগারে বদলি করা হয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ভোলা জেলা কারাগারের জেলার আমিরুল ইসলাম বলেন, আমি যখন শরীয়তপুরে ছিলাম তখন ভুল জামিনে বন্দি চলে গিয়েছিল। এটা ডেপুটি জেলারের ভুল ছিল। তবে আমি যেহেতু জেলার ছিলাম, তাই আমার দায় এড়ানোর সুযোগ ছিল না। তাই আমি নিজে ওই আসামিকে (ভুল জামিনে ছেড়ে দেওয়া) গ্রেফতার করি। আসামিকে গ্রেফতারের ঘটনায় তৎকালীন আইজি প্রিজন্স খুব খুশি হয়েছিলেন। এ কারণে আমাকে ভোলায় পোস্টিং দিয়েছেন।
এছাড়া গত বছর করোনাকালীন বগুড়া কারাগারে বন্দির পরিবারের সদস্যের সঙ্গে নারী কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ ওঠে জেল সুপার সাঈদ হোসেনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তাকে রাজশাহীতে ক্লোজ করা হয়। পরে তাকে পোস্টিং দেওয়া হয় সাতক্ষীরা জেলা কারাগারের মতো বড় কারাগারে। এ প্রসঙ্গে সাঈদ হোসেন বলেন, আমি যখন বগুড়া কারাগারে ছিলাম তখন এক বন্দিকে সহযোগিতা করতে চেয়েছিলাম। তাকে সহযোগিতা করতে গিয়ে বিপদে পড়ে যাই। তিনি বলেন, কারা অভ্যন্তরে কর্মকর্তাদের মধ্যে লাগালাগি আছে। যারা আমার বিরুদ্ধে ছিল তারা আমাকে ‘কিকআউট’ করতে চেয়েছিল। এ কারণে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছিল। অভিযোগের পর আমাকে প্রাথমিকভাবে রাজশাহী ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা না মেলায় সাতক্ষীরা জেলা কারাগারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে-এমন দাবি তার। কিন্তু তার কাছে এ সংক্রান্ত (অভিযোগ থেকে নিষ্কৃতি দেওয়া) কোনো প্রতিবেদন বা লিখিত আদেশ নেই বলে জানান। অন্যদিকে এ বিষয়ে কারা অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
কারা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ বেলাল হোসেন বলেন, করোনা পরিস্থিতিসহ নানা কারণে বেশ কিছুদিন ধরে কারাগারগুলোতে সরেজমিন ভিজিট করা সম্ভব হচ্ছিল না। তাই কারাগারগুলোতে নজরদারির কিছুটা ঘাটতি দেখা দেয়। এই সুযোগে অনেক অভিযোগ উঠেছে। শিগগিরই মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কারাগারগুলোতে সরেজমিন ভিজিট শুরু হবে। কোনো অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একটি জেলা কারাগারে কর্মরত একজন ডিপ্লোমা নার্স বলেন, জেল সুপার এবং জেলারের দায়িত্বে অবহেলার কারণে গাজীপুর জেলা কারাগার গত মার্চে একজন বন্দি কারাগার থেকে পলায়ন করেন। কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে ওই কারাগারের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা টাকার বিনিময়ে বন্দিদের স্বজনদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাতের সুযোগ করে দিচ্ছিল। একই প্রক্রিয়ায় তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের এক নেতার সঙ্গে দেখা করেন হিমেল নামের এক স্বজন। বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছিলেন ডিপ্লোমা নার্স বদিউজ্জামান বদরুল। পরে বদরুলকে লালমনিরহাটে বদলি করে দেওয়া হয়। বদরুল এখন সেখানেই কর্মরত আছেন। অন্যদিকে জেলার ইউনুস-উজ-জামানকে তাৎক্ষণিকভাবে ভোলায় বদলি করা হলেও এক মাসের মধ্যেই তাকে সিরাজগঞ্জে পদায়ন করা হয়। অপরদিকে জেল সুপার বজলুর রশিদ আখন্দ এখনো গাজীপুর জেলা কারাগারে কর্মরত আছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলার ইউনুস-উজ-জামান বলেন, আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ এসেছে সেগুলো এখনো নিষ্পত্তি হয়নি। আইজি অফিসে প্রতিবেদন জমা পড়েছে। দেখা যাক কী হয়। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি অসুস্থ মানুষ। তাই ভোলায় বদলির আদেশের পরপরই আমি আইজি মহোদয়ের কাছে একটি আবেদন দিই। আরজি জানাই, যেখানে ভালো হাসপাতাল আছে, সেখানে যেন আমাকে পোস্টিং দেওয়া হয়। এ কারণে আমার বদলির আদেশ বাতিল করে আমাকে সিরাজগঞ্জে পোস্টিং দেওয়া হয়।
অভিযোগের বিষয়ে জেল সুপার বজলুর রশিদ আখন্দ বলেন, আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ এসেছিল, সেসবের তদন্ত শেষ পর্যায়ে। তদন্ত কর্মকর্তার নাম ডিআইজি (প্রিজন্স) তৌহিদুল ইসলাম। এ বিষয়ে উনি ভালো বলতে পারবেন। আমি কিছু বলতে চাচ্ছি না।
দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, ২১ আগস্টের ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা মামলার আসামির ডিভিশন চেয়ে ব্যাপক আলোচনায় ছিলেন কাশিমপুর-২ কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার (চলতি দায়িত্ব) আব্দুল জলিল ও জেলার আবু সায়েম। ২০ জুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে এ বিষয়ে চিঠি দেন তৎকালীন কারা মহাপরিদর্শক (আইজি-প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোমিনুর রহমান মামুন। চিঠি পাওয়ার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা নড়েচড়ে বসেন। তারা চিঠির বিষয়বস্তু ও ৬১৭ ধারা পর্যালোচনা করে নিশ্চিত হন, কারাবিধি অনুযায়ী সাজাপ্রাপ্ত এ আসামি কোনোভাবে ডিভিশন পাওয়ার যোগ্য নন। যদিও আইজি প্রিজনের চিঠির কোথাও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার কথা উল্লেখ করা হয়নি। প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করতে গিয়ে মামলার বিষয়টি সামনে আসে। মন্ত্রণালয় নিশ্চিত হয়, এ কয়েদি চাঞ্চল্যকর ও ন্যক্কারজনক নৃশংস গ্রেনেড হামলা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগ থেকে আইজি প্রিজন্সকে ১১ জুলাই পালটা চিঠি দেওয়া হয়। সেখানে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যাখ্যা ও মতামত চাওয়া হয়। সম্প্রতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোমিনুর রহমানকে কারা অধিদপ্তর থেকে সরিয়ে দেয় সরকার। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কারাগারের জেল সুপার এবং জেলার এখনো আছেন বহাল তবিয়্যতে। শুধু তাই নয়, কাশিমপুর-২ কারাগারে বসে টেলিফোনে আন্ডারওয়ার্ল্ড নিয়ন্ত্রণ করছেন পল্লবীর বহুল আলোচিত সাহিনুদ্দিন হত্যা মামলার প্রধান আসামি সুমন। তিনি নিয়মিত ফোনে হুমকি দিচ্ছেন প্রতিপক্ষদের।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার আব্দুল জলিল বলেন, ডিভিশন চাওয়ার বিষয়টি নিয়ে বিভাগীয় তদন্ত চলমান আছে। তাই এ নিয়ে কিছু বলতে চাচ্ছি না। তিনি বলেন, সাহিনুদ্দিন যে কারাগার থেকে বিভিন্ন জায়গায় ফোন করছে সেই বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। কারাগারে ব্যক্তিগত ফোন ব্যবহারের সুযোগ নেই। তিনি কীভাবে এটি করছেন তা নিয়ে তদন্ত হচ্ছে। এর সঙ্গে কারাগারের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সার্বিক বিষয়ে সাবেক ডিআইজি (প্রিজন্স) মেজর (অব.) শামসুল হায়দার সিদ্দিকী বলেন, যার বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে তিনি যদি পদস্থ কর্মকর্তা হন, আর তার কারণে যদি তদন্তে প্রভাব পড়ার আশঙ্কা থাকে তবে তাকে দায়িত্বে না রাখাই ভালো। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থেই এটা করা উচিত। তিনি আরও বলেন, ডিআইজি, জেল সুপার এবং জেলার কারা অধিদপ্তরের খুবই গুরুত্বপূর্ণ পদ। দায়িত্বে রেখে এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত হলে তদন্ত প্রভাবিত করার আশঙ্কা থেকেই যায়।