মিষ্টির রসে হরিপুরের শিক্ষার্থীরা

জসীম উদ্দিন ইতি হরিপুর ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে টানা ৫৪৪ দিন পর ১২ সেপ্টেম্বর রোববার ক্লাসে ফিরেছে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। শিক্ষকরা পাচ্ছেন শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের সান্নিধ্য। সহপাঠীদের সঙ্গ পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।কোভিড-১৯ শের কারণে র্দীঘ ঘর বন্দি শিশুরা যেনো পাখির মতো মুক্ত হয়ে স্কুলে ফিরল৷ স্কুলে এসে মহা আনন্দিত শিক্ষার্থীরা। করোনা মহামারিতে বন্ধ থাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো আবারো শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে৷ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ায় আনন্দিত অভিভাবকরাও৷
দেড় বছরের বেশি সময় পরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হলেও একসঙ্গে সব শ্রেণির ক্লাস শুরু হচ্ছে না। ২০২১ ও ২০২২ সালের এসএসসি, এইচএসসি পরীক্ষার্থী ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে ছয় দিন ক্লাসে যেতে হবে। বাকিদের সপ্তাহে এক দিন করে মাত্র দুটি বিষয়ের ক্লাস হবে। দীর্ঘ বিরতির পর শিক্ষার্থীদের মিষ্টিমুখ করে বরণ করে নিতে দেখা গেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো অনেকটাই আগে থেকে প্রস্তুত ছিল।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরির্দশন করেন,হরিপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ জিয়াউল হাসান মুকুল,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল করিম,উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রায়হানুল ইসলাম মিঞা, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আজিজার রহামন,সহকারি শিক্ষা অফিসার রবিউল ইসলাম সবুুুজ,সহকারি শিক্ষা অফিসার সুলতান আল- রাজী,সহকারি শিক্ষা অফিসার মঞ্জরুল ইসলাম।
বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে মাস্ক বিতরণ করেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ জিয়াউল হাসান মুকুল৷ তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আজ থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে৷ শিক্ষার্থীরা মাস্ক ঠিকমতো পড়ছে কিনা সেদিকে শিক্ষকরা খেয়াল রাখবেন৷ শিক্ষা অফিসার গন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নিয়মিত পরিদর্শন করা দরকার৷ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে৷

হরিপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বলেন,এই উপজেলায় ১১১ টি প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৮ হাজার৷স্বাস্থ্য বিধি মেনেই চলবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান৷
হরিপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রায়হানুল ইসলাম মিঞা বলেন, স্বাস্থ্য বিধি মেনে কমলমতি শিক্ষার্থীদের মিষ্টিমুখ করে উৎসব মুখর পরিবেশে বরণ করে নেয়া হয়েছে। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হাত ধোয়ার ব‍্যবস্থা করা হয়েছে এবং উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাস্ক বিতরণ করা হয়। এখন পর্যন্ত কোনো শিক্ষার্থীদের অসুস্থ হওয়ায় কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল করিম বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন স্কুল কলেজ বন্ধ ছিলো। তাই এবার সকল বিধি নিষিদ্ধ মেনে শিক্ষা গ্রহণের জন্য শিক্ষার্থীদের স্কুল কলেজে আসার কথা বলা হয়েছে। তবে শুরুটা ছিলো মিষ্টির রসে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *