যশোর জেলার চৌগাছা সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মিলন সাহেব মরণব্যাধী করোনা ভাইরাসের সমসময়ে সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে নিজ বাড়িতে কোচিং বাণিজ্যে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি: যশোর জেলার চৌগাছা সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মিলন সাহেব মরণব্যাধী করোনা ভাইরাসের সমসময়ে সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে নিজ বাড়িতে কোচিং বাণিজ্যে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে মর্মে জানা যায়। ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, সরেজমিনে অত্র পত্রিকার ভ্রাম্যমান প্রতিনিধিদ্বয় ১ আগষ্ট/২১ সকাল আট ঘটিকায় সহকারী শিক্ষকের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে দেখতে পায় ২০/২৫ জন ছাত্র/ছাত্রী নিয়ে মিলন সাহেবের বাড়ির দোতলায় ছাদের উপর ৭/৮টি বেঞ্চে ঘন সারিতে মাস্ক ছাড়া বসে আছে। সহকারি শিক্ষক মিলন সাহেব তাৎক্ষনিক তড়িঘড়ি করে চলে যাওয়ার জন্য দাড়িয়ে যান। তার মুখেও মাস্ক ছিল না যাহা ক্যামেরাবদ্দ হয়। চৌগাছা সরকারি পাইলট হাই স্কুলের শিক্ষক মিলন সাহেব কেন ছাত্র/ছাত্রীদের মাস্ক ছাড়া নিজ বাড়িতে বেঞ্চে বসিয়ে প্রাইভেট পড়াচ্ছেন এবং নিজেও কোন মাস্ক ব্যবহার করছেন না এমন প্রশ্নে তিনি কোন উত্তর দিলেন না। তাকে আরও জিজ্ঞাসা করা হয় আপনি নিজ বাড়িতে শতাধিক ছাত্র/ছাত্রী নিয়ে কয়েকটি ব্যাচে যে কোচিং বাণিজ্যটি চালাচ্ছেন তাহা কি বিধিসম্মত নাকি বিধিবহিঃর্ভূত? প্রতি উত্তরে তিনি ব্যক্ত করেন কোচিং পর্বটি বিধিবহিঃর্ভূত। তাছাড়া সরকার যখন দেশব্যাপী সকল প্রকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোন রকম পাঠদান এবং ছাত্র/ছাত্রীদেরকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বসাতে পারছেন না তখন আপনি নিজ বাড়িতে একাধিক বেঞ্চ তৈরি করে ছাত্র/ছাত্রীদেরকে ঘন সারিতে মাস্ক ছাড়াই বসাচ্ছেন এবং নিজেও মাস্ক ব্যবহার করছেন না সেটাও বিধিবহিঃর্ভূত নয় কি? চৌগাছা সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মিলন সাহেব কোন প্রকার উত্তর দিতে সক্ষম হন নাই বরং অত্র পত্রিকার ভ্রাম্যমান প্রতিনিধিদ্বয় সহকারী শিক্ষকের বাড়ি থেকে চলে আসলে নানাভাবে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে হুমকি প্রদান করেন এবং ব্যক্ত করেন পত্রিকায় লিখলে হবে কি? সহকারী শিক্ষক মিলন সাহেবের পক্ষ নিয়ে বিভিন্ন পরিচয়ে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বলতে চায় তার বাড়িতে সে প্রাইভেট পড়াচ্ছে তাতে যদি কারও কিছু করার থাকে তা করুক। এলাকার সচেতন মহল ব্যক্ত করে চৌগাছা সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মিলন সাহেব সরকার প্রদত্ত বেতন-ভাতা যথানিয়মে পাচ্ছে তথাপিও অতিরিক্ত লোভের কারণে নিজ বাড়িতে এই কোচিং বাণিজ্যটি বিধিবহিঃর্ভূতভাবে চালিয়ে যাচ্ছে। আরও একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র ব্যক্ত করে সহকারী শিক্ষক মিলন সাহেবের নিকট ছাত্র/ছাত্রী প্রাইভেট না পড়লে স্কুলে তার বিষয়ের খাতায় নাম্বার কম দেয়। ছাত্রী/ছাত্রীদের সৌজন্য সাক্ষাতে জানা যায় প্রতি ছাত্র/ছাত্রী থেকে পাঁচশত টাকা হারে মোট ৫টি ব্যাচে সকালে, বিকালে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। যাহা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনার জন্য অত্র প্রতিবেদন। (আগামীতে বিস্তারিত আকারে পত্রিকায় চোখ রাখুন)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *