সাতক্ষিরা কলারোয়া খোর্দ্দ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেনিকক্ষে সহকারী শিক্ষক শিপন নিজ স্ত্রী-রুনাকে দিয়ে কোচিং বাণিজ্য চালাচ্ছে।
বিশেষ প্রতিনিধি: সাতক্ষিরা জেলা কোলারোয়া থানাধীন খোর্দ্দ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেনিকক্ষে সহকারী শিক্ষক শিপন তার স্ত্রী-রুনাকে দিয়ে কোচিং বাণিজ্যে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। ঘটনাটি সরোজমিনে অত্র পত্রিকার ভ্রাম্যমান প্রতিনিধিদ্বয় পর্যবেক্ষনে উপস্থিত হয়ে দেখতে পায় দ্বিতীয়, তৃতীয় শ্রেনির ছাত্র-ছাত্রীদের থেকে ৩০০/৪০০টাকা হারে ২০/২৫ জন ব্যাচ আকারে সকালে ২টি ব্যাচে কোচিং বাণিজ্যটি চালাচ্ছে। তাৎক্ষনিক ক্যামেরা বদ্ধ আকারে ছবিতে স্পষ্ট প্রমাণিত হয় যে, কোচিং বাণিজ্যটি সরকারের বিধি বহিঃভুত। এলাকাবাসী ব্যক্ত করে কোচিং বাণিজ্যটি সহকারী শিক্ষক শিপন চালাতো। কিন্তু সরকারি শিক্ষক দায়বদ্ধ মনে করে নিজের স্ত্রী রুনাকে দিয়েই কোচিং বাণিজ্যটি চালিয়ে যাচ্ছে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা নাদিরাকে জিজ্ঞাসা করা হলে, সে ব্যক্ত করে মারাক্তক ভুল হয়েছে ক্ষমা করুন। প্রধান শিক্ষিকা নাদিরার নিকট আরো জিজ্ঞাসা করা হয়, সহকারী শিক্ষক শিপন স্কুলের চাবি তার স্ত্রীকে দিলো কেমন করে। তাহাতেও সে উত্তর না দিয়ে আবারো ব্যক্ত করে এবারের মতো আমাকে ক্ষমা করুন। সদ্য অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম ব্যক্ত করে সহকরী শিক্ষক শিপনের বাড়ী স্কুলের কাছেই। সে আগেও স্কুলে প্রাইভেট পড়াতো। বর্তমানে স্ত্রী রুনাকে দিয়ে পড়াচ্ছে। নিষেধ করলেও শোনেনা। ইতিপূর্বেও বহুবার সহকারী শিক্ষক শিপনকে বার বার নিষেধ করা সত্ত্বেও সে কারো কথা শোনেনাই। বরং সহকারী শিক্ষক শিপন অতি লোভের কারণেই তার স্ত্রী রুনাকে দিয়েই এই কোচিং বাণিজ্যটি চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার এই কোচিং বাণিজ্যে কোন ব্যক্তি স্বার্থ আছে কিনা জিজ্ঞাসা করলে সদ্য অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম জানেন না মর্মে ব্যক্ত করে। আরো এক প্রশ্নের জবাবে অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম বলেন, প্রধান শিক্ষকের থেকে স্কুলের চাবি শিপনের স্ত্রী- রুনা তো কোন প্রকারে পাওয়ার কথা নয়। তাছাড়া স্কুলের বিদ্যুৎ খরচ করে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে ঘন সারিতে স্কুলের বেঞ্চে বসিয়ে যে কোচিং বাণিজ্যটি চালাচ্ছে তা আদৌ সঠিক নয়। বর্তমানে মরনব্যাধি করোনা ভাইরাসের সমসময়ে দেশব্যাপী যখন সকল প্রকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ তখন সহকারী শিক্ষক স্কুলের শ্রেনি কক্ষ খুলে ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনের কথা চিন্তা না করে সে তার কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। সচেতন মহলের মতে ইহাতে তার শাস্তি হওয়া প্রয়োজন।
বিস্তারিত আগামীতে……..