যশোর বিমানবন্দর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মিজান সাহেব মরণব্যাধি করোনা ভাইরাসের সময়ে সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে নিজ বাড়ীতে কোচিং বাণিজ্যে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে
ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি: যশোর জেলা সদর থানাধীন বিমানবন্দর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মিজান সাহেব মরণব্যাধি করোনা ভাইরাসের সময়ে সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে নিজ বাড়ীতে কোচিং বাণিজ্যে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, সরকার যখন দেশব্যাপী সকল প্রকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করলো যাহাতে কোন ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বেঞ্চে বসাতে পারছে না, তখন যশোর বিমানবন্দর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মিজান সাহেব নিজ বাড়ীতে শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে তিন থেকে চারটি ব্যাচ আকারে কিভাবে কোচিং বাণিজ্যটি চালিয়ে যাচ্ছে তাহা সচেতন মহলে জিজ্ঞাসা। অত্র পত্রিকার ভ্রাম্যমান প্রতিনিধিদ্বয় সরোজমিনে সহকারী শিক্ষক মিজান সাহেবের নিজ বাড়ীতে পৌছাইয়া দেখতে পায় সকালের ২য় ব্যাচে ২৫-৩০জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে কোচিং ব্যাণিজ্যে ন্যাস্ত আছে। এক পর্যায়ে জিজ্ঞাসাবাদে সহকারী শিক্ষক মিজান সাহেব ব্যক্ত করেন তার মারাক্তক ভুল হচ্ছে। আরও এক পর্যায়ে জানতে চান যেহেতু সরকার প্রদত্ত (এমপিও) বেতন-ভাতা যথানিয়মে পাচ্ছেন তথাপিও এই বিধিবহির্ভূত কোচিং বাণিজ্যটি কেন চালাচ্ছেন? প্রতি উত্তরে সহকারী শিক্ষক মিজান সাহেব কোন প্রকার সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেন না। এলাকার বুদ্ধিজীবি মহল ব্যক্ত করে সরকারের বেতন-ভাতা ঘরে বসেই যথানিয়মে পাওয়া সত্বেও অতি লোভের কারণে এই কোচিং বাণিজ্যটি সহকারী শিক্ষক মিজান সাহেব চালিয়ে যাচ্ছেন। নির্ভরযোগ্য সূত্রটি ব্যক্ত করে বিমানবন্দর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে মিজান সাহেব নিজ বাড়ীতে সংগ্রহ করে প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রী থেকে এক হাজার টাকা হারে শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী থেকে লক্ষাধিক টাকা আদায় করছে। তবে সরকারের বিধান অমান্য করার কারণে তার শাস্তি হওয়া প্রয়োজন এলাকাবাসী ব্যক্ত করে। উল্লেখ্য ছবিতে স্পষ্ট প্রমাণ করে যে, মিজানের কোচিং বাণিজ্যটি পরিস্কার। ছাত্র-ছাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় এক হাজার টাকার নিচে তিনি গ্রহণ করেন না। আরও উল্লেখ করেন স্যারের কাছে না পড়লে স্কুলের পরীক্ষার খাতায় নাম্বার কম দেন।
(আগামীতে বিস্তারিত আকারে পত্রিকার পাতায় চোখ রাখুন)।