বন্দরে শোক দিবসে নলি খাওয়ার উল্লাস \ ফেসবুকে ভাইরাল
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। ইতিহাসের জঘন্যতম, নৃশংস হত্যাকান্ড ঘটে ১৯৭৫
সালের এই কালরাতে। এ দিন গোটা বাঙালি জাতিকে কলঙ্কিত করেছিল সেনাবাহিনীর
উচ্ছৃঙ্খল কিছু বিপথগামী সদস্য। সেদিন রাতে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের
ঐতিহাসিক ভবনে ঘাতকের নির্মম বুলেট বিদ্ধ করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিবের বুক।
সেদিন ঘাতকের হাতে প্রাণ হারান বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম
ফজিলাতুন নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর বড় ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ
রাসেল,পুত্রবধূ সুলতানা কামাল, রোজী জামাল, ভাই শেখ নাসের, কর্নেল জামিল।
খুনিদের বুলেটে সেদিন আরও প্রাণ হারান বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে মুক্তিযোদ্ধা
শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃসত্ত¡া স্ত্রী আরজু মণি,ভগ্নিপতি আবদুর রব
সেরনিয়াবাত,শিশু বাবু, আরিফ রিন্টু খানসহ অনেকে। ওই সময় দেশে না থাকায়
প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা এবং তার ছোট বোন শেখ রেহানা।
১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবসে বাঙালী জাতি বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবার পরিজনকে
স্মরন করে তাদের প্রতি সম্মান দেখিয়ে তাদের রুহের মাগফিরাত করে দোয়া
মাহফিল এবং কাঙালী ভোজ করে থাকে।
কিন্তু বর্তমানে দেখা যায় নিজের নাম ফুটানোর জন্য গরু মহিষ জবাহ করে
কাঙালী ভোজের নামে কিছু কতিপয় নাম ধারী হাইব্রীড আওয়ামী লীগ নেতা
গরু-মহিষের নলী,খিচুরী,বিরিয়ানী, দিয়ে ভুরিভোজ করে এবং হাসি ঠাট্টায় মেতে
উঠে। আসলে তারা জীবনেও নৌকায় ভোট দেয় নাই, তারা আসলে বঙ্গবন্ধু’র
আদর্শকে বুকে ধারন করে না,তারা মুখে মুখে যতই আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ করুক
না কেন আসলে তাদের গুষ্ঠির মধ্যে কেউ আওয়ামী লীগ করে নাই,নৌকায় ভোট দেই
নাই। শুধু মাত্র ক্ষমতার লোভে চট করে আওয়ামীলীগে যোগ দিয়ে দরবেশের রূপ
ধরে ক্ষমতায় বসতে চায়। ক্ষমতা লোভী হাইব্রীড নেতারা কখনো প্রকৃত আওয়ামী
লীগার হতে পারে না। তাদের দ্বারা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
তাদের মনে সেই পিয়ারে পাকিস্তান তাই ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবসে গরু মহিষের
নলী আর বিরিয়ানী দিয়ে ভুড়িভোজ করে হাসি ঠাট্টায় মেতে উঠে। যা মোটেও কাম্য
নয়। বন্দর উপজেলা যুব লীগের সাধারন সম্পাদক খন্দকার হাতেম হোসাইন তার
ফেসবুক আইডিতে ১৫ আগষ্ট শোক দিবসে একটি ছবি পোষ্ট করেন তাতে দেখা যায়
তিনি সহ ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের আগামী নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদ পার্থী
হাইব্রীড নেতা আজিজুল হক আজিজসহ আরো অনেকে, ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ
মাধ্যমে ভাইরাল হলে বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হোন। পরে তিনি তার
স্ট্যাটাসের লেখা এডিট করে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।