তানোর পৌর মেয়রের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন
তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধি : রাজশাহীর তানোর পৌরসভা নির্বাচনে প্রতি মাসে প্রায় সোয়া আট কোটি বা ৫ বছরে ৫শ’ কোটি টাকার উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইমরুল হক। ফলে তার সামনে বড় চ্যালেঞ্জ বিশাল প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন। তিনি নির্বাচনী প্রচারণায় বলেছিলেন তিনি বিজয়ী হলে ৫ বছরে পৌরসভায় ৫শ” কোটি টাকার উন্নয়ন করবেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাকে সেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। পৌরবাসীর অভিমত এমন প্রতিশ্রুতির প্রলোভনে পড়ে পৌরবাসী তাকে দুই হাত ভরে ভোট দিয়ে এখন বুঝছেন সেটা ছিল মিথ্যা প্রতিশ্রুতি। কারণ ইমরুল হক মেয়র নির্বাচিত হবার পর দীর্ঘদিন অতিবাহিত হতে চলেছে, এখানো নতুন কোনো প্রকল্প নিয়ে আসতে পারেনি, এমনকি আগের মেয়রের রেখে যাওয়া প্রায় ৫ কোটি টাকার কাজ সেটিও সম্পন্ন করতে পারেননি। এদিকে দায়িত্ব গ্রহণের পর হাট-ঘাট ইজারা, কোটেশানে উন্নয়ন কাজ, মশক নিধন ইত্যাদি যতোটুকু কাজ করেছেন তা নিয়েই বিতর্কের ঝড় উঠেছে। কারন কথিত কোটেশানের নামে যে উন্নয়ন কাজ শুরু হয়েছে তার যথার্ততা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো সুযোগ নাই, তবে বাস্তবায়ন নিয়ে বিস্তর অভিযোগ উঠেছে নাগরিকগণের মাঝে।
এদিকে স্থানীয়রা বলছে, স্থানীয় সাংসদ ও উপজেলা চেয়ারম্যানের আর্থিক সহায়তা, জনপ্রিয়তা এবং তাদের বিশাল কর্মী বাহিনীকে কাজে লাগিয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন ইমরুল হক। কিন্ত্ত নির্বাচিত হবার পর পরই তাদের সঙ্গে তিনি সম্পর্ক ছেদ করেছেন। এতে প্রশ্ন উঠেছে দেশের এমপি নির্ভর রাজনীতিতে এমপির সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটিয়ে একজন মেয়র এলাকার উন্নয়নে কতটুকু ভুমিকা রাখতে পারবেন। পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা জনৈক মাহাবুর রহমান, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের রানা ও হিরা বলেন, পৌর ভবনে কথিত দ্বিতীয় মেয়রের আবির্ভাব ঘটেছে, তার সম্মতি ব্যতিত কোনো কাজ করা হচ্ছে না,এতে জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত কাউন্সিলরদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃস্টি হয়েছে।
অপরদিকে ১২ মাসে এক বছর ৫ বছরে ৬০ মাস, আর ৫ বছরে ৫শ’ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ মানে প্রতি মাসে সোয়া আট কোটি টাকার উন্নয়ন করার কথা রয়েছে। তবে তানোর পৌরসভার মতো ক্ষুদ্র পরিসরে ৫ বছরে ৫শ’ কোটি টাকা ব্যয়ের জায়গা নাই তাহলে কেনো এমন প্রতিশ্রুতি। জানা গেছে, তানোর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তাঁতিয়ারপাড়া, মথুরাপুর আদিবাসীপাড়া ও সরদারপাড়া গ্রামের যাতায়াতের ২টি রাস্তা দীর্ঘদিন বছর ধরে চলাচলের প্রায় অনুপোযোগী হয়ে পড়ে রয়েছে।এছাড়াও মাসিন্দা হালদার পাড়া-আকচা-বুরুজ, ভাতরন্ড,
সরদারপাড়া-গোল্লাপাড়া, চাপড়া-ও তালন্দ উপরপাড়াসহ সিংহভাগ রাস্তা ও ড্রেনেজের বেহালদশা, রয়েছে সড়ক বাতি ও বিশুদ্ধ খাবার পানির সঙ্কট।পৌরসভার নাগরিকগণ দীর্ঘদিন ধরে নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। রাস্তা- ঘাট, গ্রামীণ অবকাঠামো ও সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসুচি ইত্যাদি উন্নয়ন ও অর্জনের ক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়েও পিছিয়ে থেকে ডিজিটাল নর্দমা নামে পরিচিতি লাভ করেছে তানোর পৌরসভা বলে সচেতন মহলের অভিমত। এব্যাপারে তানোর পৌর মেয়র ইমরুল হকের সঙ্গে একাধিকবার যোগোযোগের চেস্টা করা হলেও মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার কোনো বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।