আত্রাইয়ে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রগুলোতে চিকিৎসক ও জনবল সংকট চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত জনগন
আত্রাই (নওগাঁ) সংবাদদাতা : নওগাঁর আত্রাইয়ে কোটি কোটি
টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৮টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান
কেন্দ্রগুলোতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও জনবল না থাকায়
চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এলাকাবাসী।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান অফিস সূত্রে জানা গেছে,
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান অফিসে সহকারি পরিবার কল্যান
কর্মকর্তা ১টি ও অফিস সহায়ক ২টি পদ শূন্য। সাহাগোলা
ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রে পরিবার কল্যান
পরিদর্শিকা ১টি, পরিবার কল্যান সহকারি ইউনিট (ক) এ ১টি ও
আয়া ১টি পদ শূন্য। ভোঁপাড়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার
কল্যান কেন্দ্রে পরিবার কল্যান পরিদর্শিকা ১টি, পরিবার কল্যান
সহকারি ইউনিট (খ) এ ২টি ও আয়া ১টি পদ শূন্য।
আহসানগঞ্জ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রে পরিবার
কল্যান সহকারি ইউনিট (ক) এ ১টি, ইউনিট (খ) এ ৩টি ও আয়া
১টি পদ শূন্য। পাঁচুপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান
কেন্দ্রে পরিবার কল্যান সহকারি ইউনিট (ক) এ ১টি ও ইউনিট
(খ) এ ৩টি পদ শূন্য। বিশা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান
কেন্দ্রে পরিবার কল্যান পরিদর্শিকা ইউনিট (ক) এ ৩টি ও আয়া
১টি পদ শূন্য। মনিয়ারি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান
কেন্দ্রে পরিবার কল্যান পরিদর্শিকা ১টি, পরিবার কল্যান সহকারি
ইউনিট (খ) এ ১টি ও আয়া ১টি পদ শূন্য। কালিকাপুর ইউনিয়ন
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রে নৈশ প্রহরী ১টি পদ শূন্য।
হাটকালুপাড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রে পরিবার কল্যান
পরিদর্শিকা ১টি, পরিবার কল্যান সহকারি ইউনিট (ক) এ ১টি,
ইউনিট (খ) এ ৩টি ও আয়া ১টি পদ শূন্য।
এই স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রগুলো সরকার কোটি কোটি
টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করেছেন। সাধারণ জনগণের চিকিৎসা, মা
ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা, পরিবার ও পরিকল্পনা বিষয়ক গর্ভবতী মায়েদের
সেবাদানের জন্য এই কেন্দ্রগুলো প্রতিষ্ঠা করা হয়। কিন্তু দুঃখজনক
হলেও সত্য যে, এই কল্যান কেন্দ্রগুলোতে কোনো কল্যান ও সেবা
কার্যক্রম নেই। অযতেœ ও অবহেলায় দাঁড়িয়ে আছে অসহায়
আবাসিক এবং হাসপাতালের কক্ষগুলো। কোনো ইউনিয়নে একতলা
আবার কোনো কোনো ইউনিয়নে দু’তালা ভবন রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কোনো কোনো কেন্দ্রে পূর্বে
কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে বেষ্টিত ছিল। কিন্তু বর্তমানে সেই
বেড়াগুলোর কোনো চিহ্ন নেই। আছে শুধু কয়েকটি খুঁটি।
ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রগুলো এখন হয়েছে গো-
চারণভুমিতে পরিণত এবং সাধারণ মানুষের দখলে। এ যেন দেখার কেও
নেই।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা খাজা আবু মুসা এস.
এম কিবরিয়া বলেন চিকিৎসক ও জনবল সংকট নিরসনের
প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত
করা হয়েছে।