গণপরিবহন ঠেকানো গেলেও মানুষ ঠেকানো যাচ্ছে না
অপরাধ তথ্যচিত্র ডেক্স: লকডাউনের চতুর্থ দিনে গাজীপুর জেলার সীমান্ত এলাকাগুলোতে চেকপোস্ট বসিয়ে গণপরিবহন নিয়ন্ত্রণ করছে পুলিশ। গণপরিবহন আটকে দিলেও যাত্রীরা পায়ে গাজীপুর হেঁটে জেলার সীমানা অতিক্রম করছে।
মহানসড়কের রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তায় গাজীপুর মহানগর পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে গণপরিবহন যাচাই বাছাই করায় সড়কের দুই পাশে এক কিলোমিটারের মতো যানজট লেগে থাকতে দেখা গেছে।
যাত্রীদের অনেকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বাড়তি ভাড়া দিয়ে সিএনজি বা ব্যাটারীচালিত অটোরিক্সায় করে জেলার বাইরেও যাতায়াত করা যাচ্ছে।গাজীপুর হাইওয়ে পুলিশের পুলিশ সুপার আলী আহমদ খান বলেন, “জেলার সীমান্ত এলাকা দিয়ে গণপরিবহন নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের বিশেষ কাজ। জেলার ভেতরে বাইরের মানুষজনের বিচরণ নিয়ন্ত্রণের কাজটি জেলা পুলিশ প্রশাসনের। আমরা কঠোরভাবে আমাদের দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট রয়েছি। কোনো গণপরিবহন বা অযাচিত যান জেলার ভেতরে প্রবেশ ও বাইরে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না।”
মাওনা চৌরাস্তা হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কমাল হোসেন জানান, লকডাউনের প্রথম দিনে মহাসড়কে সিএনজিচালিত ও ব্যাটারীচালিত সাতটি অটোরিক্সা আটক করা হয়। এর মধ্যে আইনি বিধি বিধান ভঙ্গ করার কারণে চারটির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। শুক্রবারও বেশ কয়েকটি সিএনজিচালিত ও ব্যাটারীচালিত অটোরিক্সা আটক করা হয়েছে।
গাজীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম শফিউল্লাহ শফিক বলেন, “আমাদের প্রতি নির্দেশনা রয়েছে জেলার বাইরের কোনো গণপরিবহন জেলার ভেতরে প্রবেশ করতে পারবে না। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কেউ রাস্তায় বরে হবে না। গণপরিবহন কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। কিন্তু যখন বেশি সংখ্যক মানুষ একসাথে রাস্তায় বের হচ্ছে বা সীমান্ত দিয়ে জেলার সীমানার ভেতরে প্রবেশ করছে সেখানে পুলিশের নির্দিষ্ট জনবল দিয়ে তাদের নিয়ন্ত্রণ কতটুকু সম্ভব? আমরা চেষ্টা করছি।”