সৈয়দপুর বিমানবন্দর ম্যানেজার সুপ্লোব কুমার ঘোষের সীমাহীন দূর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও চাঁদাবাজীর অভিযোগ।
মোতালেব হোসেন: উত্তরাঞ্চলের গেটওয়ে সৈয়দপুর বিমান বন্দর। একসময় বিমান বন্দরটি ঝিমিয়ে পড়লেও বর্তমানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় শিল্প কল কারখানা ইপিজেড স্থাপনের ফলে বহু বিদেশী কোম্পানী বিনিয়োগ করায় বিমানবন্দরটির গুরুত্ব অতীব জরুরী সেবায় পরিনত হয়েছে। বর্তমানে এখানে প্রত্যেকদিন ১৫টি বিমান উঠানামা করে। বিমানবন্দর রানওয়ে সম্প্রসারণ, টার্মিনাল উন্নয়নের জন্য হাজার হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বর্তমানে এই বিমানবন্দরের দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যানেজার বাবু সুপ্লোব কুমার ঘোষের বিরুদ্ধে সীমাহীন দূর্নীতি, স্বেচ্চাচারিতা, চাঁদাবাজিসহ নানাবিধ অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের অবহেলায় বিমানবন্দর ওয়েলফেয়ার মার্কেটে পরপর সাতবার চুরি হওয়ায় মার্কেটিিট সুনামক্ষুন্নে পড়েছে। তারপরে আবার বর্তমান এই ম্যানেজার দোকান মালিকদের সঙ্গে আলোচনা না করে নিজ ইচ্ছামতো সঠিক মিটার বিল না দেখে প্রতিটি দোকান থেকে তিনি ৪০ হাজার টাকা দাবী করেন। পাশাপাশি তার মন মতো ঠিকাদারের সাথে যোগসাজস করে তার ষ্টোরের পুরাতন গ্রীলের রড, নি¤œমানের বালু, বিমানবন্দরের পুরাতন অব্যবহ্রত ইট দিয়ে ৯৫ টি স্ল্যাব ঠিকাদারের কাছে বুঝিয়ে দিয়ে আর্থিক সুবিধা নিয়ে থাকেন এবং বিলগুলি ঠিকাদারের সাথে ৬০/৪০ ভাগাভাগি করে নেন। বিমানবন্দর টার্মিনালের কাজ তিনি নি¤œমানের করিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এব্যপারে ওয়েলফেয়ার মার্কেটের ট্রাভেল এজেন্ট ব্যবসায়ী বাপ্পী ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস্ ইউটিউবে দুইটি দূর্নীতির গোপন ভিডিও ছেড়ে দিলে ম্যানেজার বাবু সুপ্লোব কুমার ঘোষ ক্ষিপ্ত হয়ে উক্ত ব্যবসায়ীকে ১৯শে জুন রাত ১২টার দিকে তার পোষা গুন্ডা বাহিনীর ইএম শাখার অলি সরকারী গাড়ি নিয়ে ব্যবসায়ীর বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায় এবং তার বিধিবহির্ভূতভাবে বসবাসকৃত সরকারী রেষ্ট হাউজে ডেকে নিয়ে যায় এবং রাত প্রায় ৩টা পর্যন্ত আটকে রেখে নানান ভয়ভীতি হুমকি ধামকী দিয়ে ইউটিউবের সেইসব ভিডিও মুছে ফেলার চেষ্টা করে কিন্তু ব্যবসায়ীর সাথে সেই ফোনটি না থাকায় তারা সেটি করতে ব্যার্থ হয় এবং বেশী বাড়াবাড়ি করলে তার জীবননাশের হুমকি দিয়ে থাকেন। উক্ত ম্যানেজারের আচরনে বিমানবন্দরের আশেপাশের ব্যবসায়ীরা চরম উৎকন্ঠায় দিন অতিবাহিত করছে। আরেক ব্যবসায়ী হেলাল অভিযোগ করেন যে তাকেও হুমকি দেয়া হয়েছিলো এবং শেষে তাকে গাড়ি দিয়ে পিষ্ট করার চেষ্টাও করাও হয়েছিলো।
এব্যাপারে বিমানবন্দর ম্যানেজারের সাথে মোবাইলে ০১৭০৮১৬৭৩০৭ নাম্বারে কথা বললে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি আরো বলেন মার্কেট উন্নয়নের কাজ চলছে কিন্তু বাস্তব চিত্র তার উল্টো বর্তমানে মার্কেটটি একমাস ধরে বিদ্যুৎ পানিহীন অবস্থায় রয়েছে। গোপনসূত্রে জানাযায় তিনি দূর্নীতির টাকায় প্রতি সপ্তাহে পাঁঠা জবাই করে পার্সেলে করে বিভিন্ন কর্তাবাবুর কাছে পাঠিয়ে দেন। এবং রেষ্ট হাউজ ব্যববহারের ফলে সেটিও পরিবেশও বিনষ্ট করছেন।