দুই হত্যাকারির নায়ক সাবেক এসপি বাবুল আক্তার বর্তমানে কারাগারে কিন্তু নায়িকা বনানী বিনতে বশির ওরফে বহ্নি যাবে কখন কারাগারে সে প্রত্যাশায় এলাকাবাসী। যাহা সচেতন মহলের ভাষ্য।
বিশেষ প্রতিনিধি: বহুল আলোচিত মিতু হত্যা এবং ঝিনাইদহের আকরাম হত্যার একই নায়ক সাবেক এসপি বাবুল আক্তার বর্তমানে কারাগারে। কিন্তু নায়িকা বনানী বিনতে বশির ওরফে বহ্নি যাবে কখন কারাগারে সেই অপেক্ষায় দেশবাসী। ঘটনার বিবরনে প্রকাশ, সাবেক এসপি বাবুল আক্তার কৌশলে হত্যা করে ঝিনাইদহের বাসিন্দা পুলিশের এস আই আকরাম এবং নিজের স্ত্রী মিতুকে। সূত্র-আকরামের স্ত্রী বনানী বিনতে বশির ওরফে বহ্নিকে নিয়ে ঘর বাধার আশায় কিন্তু বিধি বাম, সে আশা আর পূরণ হলো না। ইতিমধ্যেই এসপি বাবুল আক্তার গেলো জেলে মিতু হত্যার কাহিনীতে-অপর দিকে বনানী বিনতে বশির ওরফে বহ্নির গ্রীন সিগনালে তার স্বামী আকরামকে হত্যা করেছিল একই সুতায় গাঁথা সাবেক এসপি বাবুলের নিযুক্ত সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে। এসপি বাবুল এবং বনানী বিনতে বশির ওরফে বহ্নির চুক্তি ছিলো বাবুলের স্ত্রী মিতুকে এবং বহ্নির স্বামী আকরামকে দুনিয়া থেকে চিরতরে বিদায় করতে পারলে বাবুল এবং বহ্নির সকল পথ পরিস্কার হবে, ঠিক সেই চুক্তির সূত্র ধরে নায়ক বাবুল এবং নায়িকা বহ্নির সকল অভিযান নিষ্পত্তি হলো বটে কিন্তু নায়ক বাবুল আক্তার গেলো জেলে পক্ষান্তরে বনানী বিনতে বশির ওরফে বহ্নি গেলো নতুন স্বামীর ঘরে। যদিও সচেতন মহল অপেক্ষা করছে এই নায়িকা কখন যাবে জেলে এবং একই কারাগারে নায়ক নায়িকার সাথে দেখা মিলবে । একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জোরালো কন্ঠে ব্যক্ত করেছে বনানী বিনতে বশির ওরফে বহ্নির উক্তি মতে স্বামীকে যমুনা সেতু হয়ে ঢাকা থেকে ঝিনাদহের নিজের বাড়ীতে আসার যে পরিকল্পনা করেছিল ঐ পরিকল্পনার মধ্যে ছিলো বাবুলের পরিকল্পনা এবং সেই একই পরিকল্পনার মধ্যে নিহিত ছিল সন্ত্রাসীদেরকে ওঁত পেতে থাকা গ্রিন সিগনাল। ইতোমধ্যে বনানী বিনতে বশির ওরফে বহ্নির স্বামী আকরাম যমুনা সেতু হয়ে ঢাকা থেকে ঝিনাদহের শৈলকুলা অঞ্চলে প্রবেশের সময়ে স্ত্রী বনানী বিনতে বশির ওরফে বহ্নির মোবাইল ফোনের মাধ্যমে স্থান সঠিকভাবে নির্ধারিত করেই সন্ত্রাসীদেরকে গ্রীন সিগনাল প্রয়োগ করা হয়। তাৎক্ষনিক গ্রীন সিগনালেই আকরাম ভ্যানিস। অতপর প্রচার করা হয় সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত, তারপর হাসপাতালে অল্পসময়ের মধ্যেই মৃত্যু। আকরামের মৃত্যুর পর তড়িঘড়ি করে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ পুলিশ থেকে বনানী বিনতে বশির ওরফে বহ্নির গ্রহণ। বুদ্ধিজীবি মহলের বক্তব্য ময়নাতদন্ত ছাড়া দুর্ঘটনার লাশ কিভাবে পুলিশ হস্তান্তর করল? অপর দিকে বনানী বিনতে বশির ওরফে বহ্নি কি করে জানাযার সমসময়ে বা দাফন কাফনের সমসময়ে স্বামীর ঘরে না যেয়ে ময়না তদন্ত বিহীন ছাড়পত্রটি গ্রহণ করে অন্যত্র চলে যেতে পারলো? আরো একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র ব্যক্ত করে বনানী বিনতে বশির ওরফে বহ্নির সর্বশেষে মোবাইলে স্বামী আকরামের সাথে যে কথোপকথোন ছিল তার ভয়েস রেকর্ডটি তল্লাসী দিলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে। তবে চরিত্রহীন, লম্পট এবং সন্ত্রাসী মর্মে দেশবাসীর বক্তব্যে সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের এক ঢিলে দুই পাখি মারার কাহিনী জানতে দেশবাসীকে বাকী রহিল না। এক ঢিলে দুই পাখির একটি ঝিনাইদহের আকরাম হত্যা অপরটি বাবুলের স্ত্রী মিতু হত্যা। সেই সাথে পথ পরিস্কার হলো বনানী বিনতে বশির ওরফে বহ্নির অপর দিকে সাবেক এসপি বাবুলের। যাইহোক দেশবাসীর ভাষ্য সকল জল্পনা-কল্পনার অবশান। অবশেষে বাবুল আক্তার ফাঁসির মঞ্চে যাওয়ার অপেক্ষায় জেলে। তদ্রুপ বনানী বিনতে বশির ওরফে বহ্নিও সেই একই পথে ফাঁসির মঞ্চের পথিক হতে চলেছে-যাহা বুদ্ধিজীবি মহলের গভীর গবেষণার ফলাফল।
(তদন্ত সাপেক্ষে আগামীতে বিস্তারিত আকারে পত্রিকার পাতায় চোখ রাখুন)