বাগেরহাটের মোল্লাহাট দক্ষিণ কাচনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কামরুজ্জামান কি সরকারি নির্দেশনার উর্দ্ধে?
ভ্রাম্যমান প্রতিনিধিঃ বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট থানাধীন দক্ষিণ কাচনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কামরুজ্জামান বাবু সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে মরণব্যাধী করোনা ভাইরাসের সময় লকডাউন উপেক্ষা করে স্কুলের ক্লাস রুমে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে নিয়ে কোচিং বাণিজ্যে ব্যস্ত। ঘটনার বিবরনে প্রকাশ দেশের সকল প্রকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যখন মরণব্যাধী করোনা ভাইরাসের প্রাক্কালে বন্ধ এবং লকডাউন ঘোষণা করা হয় তাছাড়া দেশের যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকার ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাসরুমে বসাতে পারছে না, ঠিক সেই সম সময় গত ০৬ এপ্রিল, ২০২১ইং তারিখ সকাল ০৮ঘটিকায় মোল্লারহাট দক্ষিণ কাচনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কামরুজ্জামান বাবু কিভাবে স্কুলের ক্লাস রুমে ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির ৪০/৫০ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে প্রাইভেটে ৫০০/- (পাঁচশত) টাকা হারে প্রতি ছাত্র-ছাত্রী থেকে নিয়ে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে, তাহা দেশবাসির জিজ্ঞাসা? সরোজিমনে অত্র পত্রিকার ভ্রাম্যমান প্রতিনিধিদ্বয় পর্যবেক্ষনে যেয়ে দেখতে পায় স্কুলের দো-তলায় ক্লাস রুমে প্রায় ৪০/৫০ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে সহকারি শিক্ষক কামরুজ্জামান প্রাইভেট কার্যক্রমে ন্যাস্ত আছে। যাহা সম্পূর্ণ সরকার প্রদত্ত বিধি বহিঃর্ভুত। এক পর্যায়ে সাক্ষাৎকারে সহকারি শিক্ষক কামরুজ্জামান ব্যাক্ত করে প্রধান শিক্ষকের জ্ঞ্যাতসারে আমি প্রাইভেট পড়াচ্ছি। তাৎক্ষণিক প্রধান শিক্ষকের নাম্বার নিয়ে মোবাইলে ফোন করতে গেলে সহকারি শিক্ষক কারুজ্জামান পায়ে জড়িয়ে ধরে মাফ চায়। সহকারি শিক্ষক কামরুজ্জামান আরো দৃঢ় কণ্ঠে ব্যক্ত করে প্রধান শিক্ষক প্রাইভেট পড়ায় তাহাতে কি কোন দোষ নেই? এলাকাবাসি ব্যক্ত করে মরনব্যাধি করোনা ভাইরাসের সময় এবং লকডাউন ঘোষণাকালে সহকারি শিক্ষক কারুজ্জামান অতিলোভে এই কার্যক্রমে ব্যস্ত আছে। তবে সরকার পদক্ষেপ নিয়ে কামরুজ্জামানের শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। নির্ভরযোগ্য সূত্রটি ব্যক্ত করে, সহকারি শিক্ষক কামরুজ্জামান সরকার প্রদত্ত বেতন ভাতা যথা নিয়মে পাচ্ছে তথাপিও অতিলোভের কারণে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে স্কুলের ক্লাসরুমে একত্রিত করে এই কোচিং বাণিজ্যটি চালিয়ে যাচ্ছে। উর্দ্ধোতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষনে অত্র প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হলো।
(বিস্তারিত আগামীতে পত্রিকার পাতায়)