শিক্ষক-কর্মচারীদের করোনার টিকা নিতে অনীহা!
অপরাধ তথ্যচিত্র ডেক্স: কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ২৬৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষক-কর্মচারীদের কোভিড ১৯ টিকা নেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষ বার বার তাগিদ দিলেও এখন পর্যন্ত অধিকাংশ শিক্ষক কর্মচারীরা টিকা গ্রহন করেনি। ফলে চলতি মাসের ৩০ তারিখে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিলে এসব শিক্ষক কর্মচারী শিক্ষার্থীদের সংস্পর্শে আসলে করোনা সংক্রমন হওয়ার আশঙ্কা করছে অভিজ্ঞমহল।উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, রাজারহাট উপজেলায় ৪২টি মাধ্যমিকে ৪৮০জন শিক্ষক ও ১৭০জন কর্মচারী, ২৯টি মাদরাসায় ৩৬০জন শিক্ষক ও ১৬০ জন কর্মচারী, ১১টি কলেজে ২৮০জন শিক্ষক ও ৫৫জন কর্মচারী, ৩৩টি এবতেদায়ী মাদরাসায় ১৬৭জন শিক্ষক, ১টি শিশু কল্যাণ সহ ১২৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬৭৪জন শিক্ষক ও ২৮জন কর্মচারী, ২০টি কিন্ডারগার্টেন ও ১৫টি নুরাণী হাফিজিয়া মাদরাসায় প্রায় ১৫০জন শিক্ষক রয়েছে।ইতোমধ্যে এসব শিক্ষক ও কর্মচারীদের কোভিড১৯ টিকা নেয়া বাধ্যতামূলক করে সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করে। কিন্তু অদ্যবধি কিছু সংখ্যক শিক্ষক-কর্মচারী কোভিড ১৯ টিকা গ্রহন করলেও অধিকাংশরাই টিকা নিতে অনিহা প্রকাশ করেন। এ অবস্থায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে বসলে শিক্ষার্থীদের সংস্পর্শে থাকবে এসব শিক্ষক কর্মচারীরা। এতে করে কোভিড১৯ সংক্রমন বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভবনা থাকছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন শিক্ষককের সাথে কথা বলে জানা যায়, করোনা টিকা নিতে ভয় পায় তারা। তাছাড়া বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হওয়ার ভয়ে তারা টিকা গ্রহন করতে অনীহা প্রকাশ করে।এ ব্যাপারে রাজারহাট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আশরাফ-উজ-জামান বলেন, প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের চিঠির মাধ্যমে করোনার টিকা নেয়ার জন্য বার বার তাগিদ দেয়া হচ্ছে।উপজেলা ইউএইচএফও ডা. আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেন, চল্লিশোর্ধ্ব যে কেউ করোনা টিকা নিতে পারেন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি টিকা কার্যক্রম শুরু থেকে ১১ মার্চ পর্যন্ত রাজারহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এসে টিকা গ্রহণ করেছেন পুরুষ ২৪০৭ ও মহিলা ১৪২২জন। টিকা গ্রহণকারীর সংখ্যা মাঝখানে বাড়লেও এখন কমে গেছে। করোনা টিকা সীমিত আকারে এসেছে, তাই যতো তাড়াতাড়ি রেজিস্ট্রেশন করে নেয়া যায় ততই ভালো।