স্ত্রীর মরদেহ চালের ড্রামে লুকিয়ে রাখে স্বামী
অপরাধ তথ্যচিত্র ডেক্স: সিলেটে গৃহবধূ লাকী আক্তারকে (২৬) হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন স্বামী মো. শাহিদ আহমদ।রবিবার (৬ মার্চ) দুপুরে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতের বিচারক সাইফুর রহমান জবানবন্দি রেকর্ড করেন।এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোগলাবাজার থানার উপপরিদর্শক শিপু কুমার দাস শহিদকে আদালতে সোপর্দ করেন। পরে জবানবন্দি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।সে আদালতকে জানায়, গত ৪ মার্চ (বৃহস্পতিবার) রাতে স্ত্রী লাকী আক্তারের সাথে ঝগড়াঝাটি হয়। একপর্যায়ে সে স্ত্রীর শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত করে। পরে মুখে বালিশ চাপা দিয়ে বসে থাকে। এতে দমবন্ধ হয়ে লাকি আক্তারের মৃত্যু হয়। পরে মৃতদেহ পলিথিনে মুড়িয়ে চালের ড্রামে ঢুকিয়ে রাখে। দুই ঘণ্টা পর লাশ ড্রাম হতে বের করে শয়ন কক্ষের খাটের উপর রাখে।পুলিশ জানায়, মোগলাবাজার থানাধীন শ্রীরামপুর উত্তরপাড়া গ্রামের মো. নুর মিয়ার ছেলে মো. শাহিদ আহমদ ও তার স্ত্রী লাকি আক্তারের সংসারে প্রায়ই ঝগড়াঝাটি লেগে থাকতো। গত শুক্রবার রাতে ঝগড়াঝাটির একপর্যায়ে স্ত্রীকে শরীরিক নির্যাতন করেন শাহিদ। পরে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মৃতদেহ ঘরের চালের ড্রামে লুকিয়ে রাখেন। লাকি আক্তার হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাটের আলীনগর গ্রামের মো. শামছুল হকের মেয়ে।
খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) সকালে সহকারী পুলিশ কমিশনার পলাশ রঞ্জন দে এর নেতৃত্বে অফিসার ইনচার্জ মো. শামসুদ্দোহা, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ফরিদ উদ্দিন খাঁন, এসআই শিপু কুমার দাস, এসআই মো. রেজাউল করিম সঙ্গীয় ফোর্স সহ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্বামী শহিদ আহমদকে গ্রেফতার করেন। এবং মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন।মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোগলাবাজার থানার এসআই শিপু কুমার দাস জানান, এ ঘটনায় নিহত লাকি আক্তারের স্বজনরা স্বামী মো. শহিদ মিয়াকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। উক্ত মামলায় শাহিদকে গ্রেফতার দেখিয়ে রবিবার আদালতে তোলা হলে বিচারক জবানবন্দি শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।