সাতক্ষীরা পল্লীতে আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের রাজাকার পুত্রের দূূর্নীতির খতিয়ান, দেখার কেউ নেই!!!
অপরাধ তথ্যচিত্র ডেক্স: আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান শাহ নেওয়াজ ডালিম এর একাধিক দূর্নীতি ফাঁস। তার বিরুদ্ধে এলাকায় কেউ মুখ খুললে টুডে টুমরো তাকে হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা। তিনি বর্তমান খাজরা ইউনিয়নের রাম রাজত্ব চালিয়েছেন। নাম প্রকাশ না করার স্বত্বে এলাকার কয়েকজন সাধারণ জনগন গনমাধ্যম কর্মীকে জানিয়েছেন এই চেয়ারম্যান ডালিম সরকারি অনুধান ৭৩ কোটি টাকা প্রাক্তন স্বাস্থ্য মন্ত্রী রুহুল হক সাহেবের নিজে মুখে প্রকাশ করেছেন খাজরা ইউনিয়নের রাস্তা-ঘাট, কালভার্ট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কমিউনিটি ক্লিনিক এর ভবন নির্মানের জন্য ৭৩ কোটি টাকা নেয় চেয়ারম্যান ডালিম। কিন্তু খাজরা ইউনিয়ন পরিদর্শন করে জানা গেল তিনি দৃশ্যমান কোন কাজ করতে পারিন নি। এলাকায় র্দীঘদিন ধরে এই রাজাকার পুত্র সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে চলেছেন। অনুসন্ধানে জানা গেছে তার বিরুদ্ধে এই পর্যন্ত আশাশুনি এবং সাতক্ষীরা সদর থানা মিলে প্রায় ১৬টির মত মামলা রয়েছে। একাধিক মামলার আসামী রয়ে গেছে অধরায়। টুম্পা নামক এক মেয়েকে নাচ গান করতে খাজরা ইউনিয়নে নিয়ে আসে শাহা নেওয়াজ ডালিম। কিন্তু কৌশলে এই মেয়েকে তিনি ও তার লোক জন সহ ধর্ষন করেন। সর্বশেষ ঘটনা ধামা চাপা দিতে মেয়েকে কেরেসিন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করে এই ডালিম চেয়ারম্যান। একাধিক অপরাধের কারণে এবং টি আর কাবিখার মাল আত্মসাৎ করার কারণে তার নামে দুদকের মামলা হয়। এই মামলার প্রধান স্বাক্ষী থাকে অত্র এলাকার শরবতউল্ল্যাহ নামক ৫৫বছর বয়সী এক ব্যক্তি। দুদকের মামলা থেকে বাচাঁর জন্য কৌশলে প্রকাশ্যে দিবালকে এই ব্যক্তিকে হত্যা করে চেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যানের ও তার সহযোগিরা। তার বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় কার্যকর করার জন্য অত্র এলাকায় একাধিক বার মানববন্ধন হয়েছে। জুয়া স¤্রাটদের দিয়ে বছরের শীতের সময় তিনি খাজরা ইউনিয়নে জুয়ার আসর বসান। নত্যকিদের দিয়ে উলাঙ্গ ড্যান্স এর ব্যবস্থা করেন। যুব সমাজকে এই দৃশ্য দেখিয়ে তিনি উত্যাক্ত করে রাখেন। যাতে এলাকায় দিনের পর দিন বেড়েছে জখম, ধর্ষন আরো অনেক কিছু। গভীর তথ্যানাসুন্ধানে বেরিয়ে এসেছে আরো অনেক অজানা কাহিনী। তিনি নত্যকিদের দিয়ে ড্যান্স করাচ্ছিলেন এমন সময় আশাশুনি থানার একজন সাব এস আই সহ পুলিশ সদস্যরা বাধা দিলে শাহ নেওয়াজ ডালিম এস.আইকে অপামান অপধস্থ করে। তার ক্ষমতার দাপট দেখে হতবাক হয়েছে এলাকার সাধারণ জনগন ও সচেতন মহল। হত্যা, ধর্ষন,খুন-জখম তার কাছে কোন বিষয় নয়। এ বিষয় চেয়ারম্যান ডালিম এর কাছে জানার জন্য তার মোবাইল নম্বরে ফোন করলে তিনি কোন মোবাইল ধরেন নি। তার বিরুদ্ধে একাধিক দূর্নীতির মামলার বিষয় এই প্রতিকায় আগামীতে নজর রাখুন।