দরিদ্র দেশগুলো আগামী বছর টিকা পাবে: ডব্লিউএইচও

অপরাধ তথ্যচিত্র ডেক্স: করোনায় বিপর্যস্ত বিশ্বে একাধিক টিকা শেষ পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনে জরুরি ভিত্তিতে টিকা প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছে। এই অবস্থায় শুক্রবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, দরিদ্র দেশগুলো আগামী বছরের শুরু থেকেই করোনা টিকা পাবে। যুক্তরাষ্ট্র ফাইজার ও মডার্নার টিকা এবং ব্রিটেন ফাইজারের টিকাকে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। এই টিকার উৎপাদন আগামী দিনে আরও বেশি হবে। কিন্তু ডব্লিউএইচও- এর পক্ষ থেকে যে টিকা মজুত করা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে এই দুটি নেই। তবে এই দুই কোম্পানির সঙ্গে কথা চলছে বলেই জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। খবরে বলা হয়েছে, ডব্লিউএইচও এবং তার সহযোগী গ্যাভি ভ্যাকসিন আলায়েন্স ও কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশনস (সেপি) ইতোমধ্যেই তাদের কোভ্যাক্স ফেসিলিটিতে প্রায় ২ কোটি ভ্যাকসিন মজুত করেছে। হু, গ্যাভি ও সেপির তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘যে আয়োজনের কথা আজ বলা হয়েছে তা গরিব দেশগুলো ২০২১ সালের প্রথমার্ধেই পাবে। ২০২১ সালের প্রথমার্ধে এই টিকা পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু হবে। যেসব দেশ আমাদের কাছে টিকার আবেদন করেছিল তাদের দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা প্রথমেই আগামী বছরের প্রথমার্ধের মধ্যেই সেই ডোজ পেয়ে যাবেন।’ কোন দেশ টিকা প্রয়োগের জন্য কতটা তৈরি সেটির ভিত্তিতেই এই টিকা পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
সংস্থার প্রধান টেড্রোস আডানম জানান, সুড়ঙ্গের শেষে আলোটা এখন একটু ভালোভাবে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু আমরা এই মহামারি তখনই শেষ করতে পারব যখন গোটা বিশ্বের সব দেশে এই টিকা পৌঁছাবে। অর্থাৎ কিছু দেশের সব মানুষকে টিকা দেওয়ার থেকে সব দেশের কিছু মানুষকে টিকা দেওয়া বেশি জরুরি। শুক্রবার ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, মার্কিন কোম্পানি জনসন অ্যান্ড জনসনের সঙ্গে ৫০ কোটি টিকার চুক্তি হয়েছে তাদের। এছাড়া অ্যাস্ট্রাজেনেকা, নোভাভ্যাক্স ও সানোফি-জিএসকের সঙ্গেও চুক্তি হয়েছে তাদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *