বিজ্ঞান-বাণিজ্য-মানবিক থাকছে না মাধ্যমিকে

অপরাধ তথ্যচিত্র ডেক্স: স্কুল পর্যায়ে সবার জন্য হবে সমন্বিত কারিকুলাম। ২০২২ সাল থেকে যা কার্যকর করা হবে। তবে নতুন এ কারিকুলামে থাকছে না বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও মানবিক বিভাগ। বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) জাতীয় সংসদে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ তথ্য জানান। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, মাধ্যমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদদের নিয়ে ২০১৬ সালে একটি কমিটি গঠন করা হয়। পরে ওই বছরের ২৫ ও ২৬ নভেম্বর কক্সবাজারে কমিটির সদস্যদের নিয়ে দু’দিনব্যাপী একটি আবাসিক কর্মশালার অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালা থেকে কিছু সুপারিশ করেন কমিটি। এরপর সুপারিশ বাস্তবায়নে কয়েকটি সাব-কমিটিও গঠন করা হয়। পরে ২০১৭ ৩০ নভেম্বর ৮ দফা প্রস্তাব করেছিল শিক্ষাক্রম পর্যালোচনা সাব-কমিটি। প্রস্তাবে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষাক্রম বিষয়বস্তুর গুরুত্ব অনুসারে তিন গুচ্ছে ভাগ করার জন্য সরকারকে পরামর্শ দেয়া হয়। নবম-দশম শ্রেণিতে পাঁচটি বাধ্যতামূলক বিষয় ছাড়া ‘গ’ গুচ্ছ থেকে দুটি ও ‘ঘ’ গুচ্ছ থেকে দুটি বা তিনটি বিষয় নিতে হবে। ফলে এসএসসি পরীক্ষায় ১৪টি থেকে চারটি বিষয় কম যাবে। অর্থাৎ ঐচ্ছিক বিষয়সহ মোট ১০টি বিষয়ের পাবলিক পরীক্ষা হবে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সদস্য (প্রাথমিক শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেন, ‘আগে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের জন্য পৃথক সময়ে কারিকুলাম পরিবর্তন হওয়ার কারণে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের কারিকুলামে কোনও সমন্বয় থাকত না। এবারই একসঙ্গে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের কারিকুলাম পরিমার্জন করা হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি হবে না।’ এনসিটিবি সূত্র জানায়, ৮ম শ্রেণি পাস করে একজন শিক্ষার্থীর জন্য বিভাগ নির্ধারণ করা কতটা বোধগম্য এ বিষয়েও নানা প্রশ্ন আছে। এছাড়াও বিভাগ পরিবর্তনের ফলে একজন মানবিকের শিক্ষার্থীর যেমন বাণিজ্যর বিষয় সম্পর্কে ধারণা পায় না, তেমনি বিজ্ঞানের ছাত্রদের ইতিহাস জানা হয়ে উঠে না। সামগ্রিক ও জ্ঞান নির্ভর শিক্ষা কার্যক্রমের জন্যই এ পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এ বিষয়ে বিদেশের অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে গবেষণা করে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড চেয়ারম্যান নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলেন, এই নতুন কারিকুলামটা হবে যোগ্যতা ভিত্তিক কারিকুলাম। এটির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে প্রথম প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে একই কারিকুলাম বাস্তবায়ন করা হবে। এর ফলে একজন শিক্ষার্থী বিশ্ব শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে বিশ্ব শিক্ষার্থী হিসেবে গড়ে উঠবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *