তালায় জাতপুর বাজারে রবিউলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে মামলা
অপরাধ তথ্যচিত্র ডেক্স: তালার জাতপুর বাজরে আলদিপুর গ্রামে ইউসুফ আলী শেখের দুই পুত্র রবিউল ইসলাম ও কামরুল ইসলাম এর চাঁদাবাজি দখলবাজি দাঙ্গাবাজি প্রতারণা ও মাদক ব্যবসার গডফাদার সহ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকান্ডে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে এলাকা বাসি। গত ০৬/১১/২০২০ইং তারিখে ডুমুরিয়া থানার আরসনগর গ্রামে চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন এর রড সিমেন্টের দোকানে আসামিরা দেশীয় অস্ত্র সাজে সজ্জিত হয়ে ৫০,০০০/- টাকা চাঁদাবাজি করে। দাবিকৃত টাকা না দিলে বিগত দিনে নেওয়া ৯২,০০০/- টাকা রড সিমেন্ট বাকিতে ক্রয় করার টাকা দিবেনা মর্মে উত্তেজিত হয়ে চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের ডান হাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মেরে এক পর্যয়ে ব্যবসায়ী রক্তাত্ত জখম হয়ে পড়লে তার ক্যাশ থেকে ১,০০,০০০/- টাকা সহ স্বর্ণ অলংকার লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটানার পর নির্যাতনের শিকার ব্যবসায়ী সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে গত ১৭/১১/২০২০ইং তারিখে বিজ্ঞ জুডিশিয়াল আমলি আদালত সাতক্ষীরায় একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলায় রবিউল ইসলাম ও কামরুল ইসলামকে আসামী করে ১৪৩/১৪৪/৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩০৬/৩০৭/৩৮৬/৩৮৫/৫০৬ ও ৩৪ পিসি ধারায় এ মামলা রুজু করা হয়। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পি বি আইকে দায়িত্ব দিয়েছে। এদিকে জাতপুর বাজারে রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে মাদক বিক্রি ডুমুরিয়া কেশবপুর ও তালা থানার একাধিক পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে মিশে সোর্স হিসাবে মিশে মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে মালামাল ক্রয় ও নগদ টাকা ধার নেওয়া তার ধান্দাবাজির রেওয়াজ। এসংক্রান্ত অনুসন্ধানে দেখা গেলে তার কাছে ৫০ এর অধিক লোক টাকা পাবে। যার মধ্যে রাজু এন্টারপ্রাইজ ৭১,০০০/- টাকা, জিন্নাত এন্টার প্রাইজ ৩৭,০০০/- টাকা মেসার্স হামিদা এন্টার প্রাইজ ৫০,০০০/- টাকা, মের্সাস সরদার এন্টার প্রাইজ ৭৫,০০০/-টাকা, মাসুদ এন্টার প্রাইজ ৩৮,০০০/- টাকা, মজুমদার কনস্ট্রাকশন ২০,০০০/-টাকা, কপোতাক্ষ ট্রেডাস ১৫,০০০/-, হিরা স্টোর ২৭,০০০/- টাকা সহ কমপক্ষে ৫০ জন ব্যক্তির নিকট থেকে রবিউল ইসলাম প্রতারণা মূলক ভাবে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে সম্প্রতি জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে। জাতপুর বাজারের একাধিক ব্যক্তি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হয়ে এ প্রতিবেদককে জানিয়েছে রবিউলের দোকানের সামনে গভীর রাত পর্যন্ত মাদক সেবীদের আড্ডা ও পুলিশের ফিকির জিকির ব্যক্তিদের আনাগোনা দেখা যায়। এ বিষয়ে রবিউল ইসলামের যোগাযোগ করা হলে সে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন আমি একজন ব্যবসায়ী। রাজু এন্টার প্রাইজ তার কাছে কোন টাকা পাবে না জানালেও মালিক বাবলু গোলদার জানিয়েছেন এখন তার কাছে ২৬,০০০/- টাকা পবে।