ফকিরহাটে বিএডিসি’র ভবন নির্মাণ কাজে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ
মোল্লাহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি: বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলায় বিএডিসি’র ইউনিট অফিস কাম ট্রেনিং সেন্টার নির্মাণ কাজে অনিয়ম ও দূর্নীতির মাধ্যম সরকারের টেকসই উন্নয়ন নীতি ও কার্যাদেশ’র শর্ত না মানার অভিযোগ পাওয়া গেছে ওই কাজের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স কে.কে এন্টারপ্রাইজের বিরুদ্ধে। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)’র অফিস ভবন এবং অবকাঠামো সংস্কার, আধূনিকায়ন ও নির্মাণ প্রকল্প (অরএমসিআইপি)’র ওই কাজের অনিয়ম দূর্নীতির তথ্যানুসন্ধানীতে জানা যায়, প্রায় এককোটি (৯৮,৮০,২০০.০০) টাকা বরাদ্ধ/ব্যায়ে গত জুলাই মাসের ১ তারিখে ফকিরহাট উপজেলা পরিষদ সংলগ্নে ওই ভবন নির্মান কাজ শুরু হয়। শুরু থেকেই এ কাজে সরকারের টেকসই উন্নয়ন নীতি না মেনে মানহীন ইট-বালি ও ডাস্ট মিশ্রিত ওভার সাইজের পাথর ব্যবহার করে মেসার্স কে.কে এন্টারপ্রাইজ। অনিয়ম ও দূর্নীতির ওই বিষয় নজরে পড়ায় জুলাই মাসেরই ২৯ তারিখে কাজ বন্ধ করে দেয় সংশ্লিষ্ট বিএডিসি কর্তৃপক্ষ। এরপরও গোপনে পিলার’র গর্ত বালির বদলে মাটি দিয়ে ভরাট করাসহ নি¤œ মানের ইট দ্বারা কিছু কাজ করা হয়। এছাড়া গত প্রায় সাড়ে তিনমাস সময়ে বৃস্টির পানিতে ভেজাসহ নানান কারনে মাত্রতিরিক্ত জং ধরা রড দিয়ে আবার কাজ শুরুর যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া ব্যবহার অযোগ্য ওই রড, ডাস্ট মিশ্রিত ওভার সাইজের পাথর ও নি¤œ মানের অন্যান্ন সাগ্রী দিয়ে আজ/কাল একাজ আবার শুরু হচ্ছে। এতে কাঠ বাশের ব্যবহার’র নিয়ম না থাকলেও ঢালাইয়ের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে টুকরো ছেড়া/ভাঙ্গা কাঠ ও বাশ। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অজান্তে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ/সাইড কানেকশন নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। ওই বিষয়ে বিএডিসির এক্সইএন/নির্বাহী প্রকৌশলী (খুলনা) মোঃ জামাল ফারুক তার মুঠোফোনে জানান, অনিয়ম এর কারণে কাজ বন্ধ ছিলো। সঠিক নিয়মে কাজ করার শর্তে আবার এ কাজ শুরু হচ্ছে। বিএডিসি’র সহকারী প্রকৌশলী (বাগেরহাট) শাহাজাহন কবির মুঠোফোনে জানান, অনিয়মের কারনে কাজ বন্ধ ছিলো, তবে, আবার শুরু হয়েছে। যাতে অনিয়ম করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখবেন বলেও জানান তিনি। ফকিরহাট পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম বলেন, সাইড কানেকশন নেয়া অবৈধ। তিনি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিবেন বলেও জানান। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স কে.কে এন্টারপ্রাইজ’র সত্বাধিকারী কবির হোসেন মুঠোফোনে বলেন-সিডিউলে যে সাইজের পাথর উল্লেখ করা হয়েছে, তা এদেশে পাওয়া যায়না, ভারত থেকে আনা লাগে, কাজ করারমত পরিবেশ নাই, এছাড়া ইঞ্জনিয়ার’র অনৈতিক দাবী পূরন এবং বিভিন্ন খাতে যে, খরচ তাতো বুঝতে পারছেন, কি করে কাজ-বাজ করবো ? অনৈতিক দাবী পুরন না করায় কাজ বন্ধ রাখছিলো, এখন আবার করা হচ্ছে।