তানোরে গ্রামীণ ব্যাংক ম্যানেজারের দৌরাত্ন্য

তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে গ্রামীণ ব্যাংকের ম্যানেজার ও মাঠকর্মীর দৌরাত্ন্য গ্রাহকরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। জানা গেছে, দেশে করোনা প্রার্দুভাগ দেখা দেয়ায় সাধারণ মানুষের উপার্জনের পথ অনেকটা বন্ধ হতে চলেছে। এসব মানুষের কথা বিবেচনা করে সরকার আগামি ডিসেম্বর পর্যন্ত সকল এনজিও’র সাপ্তাহিক কিস্তি বন্ধ কোনো কোনো ক্ষেত্রে শিথিল করেছে। এই সময়ের মধ্যে কোনো এনজিও সাপ্তাহিক কিস্তি আদায়ের জন্য কোনো সদস্যর ওপর চাপ প্রয়োগ বা ভয়ভীতি দেখাতে পারবে না। কিন্ত্ত গ্রামীণ ব্যাংকের ম্যানেজার ও মাঠকর্মীর বিরুদ্ধে সেই নির্দেশনা লঙ্ঘন করে কিস্তি আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, তানোর পৌর সদরের গ্রামীণ ব্যাংক শাখার দীর্ঘদিনের সদস্য শারমিন খাতুন ঋণ গ্রহণ করে নিয়মিত কিস্তি পরিশোধ করে আসছেন। সম্প্রতি তিনি গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে অপারেশন করে এখানো অসুস্থ রয়েছেন। ফলে তার একটি সাপ্তাহিক বাঁকি পড়েছে। এই অবস্থায় গত সোমবার ম্যানেজার ও মাঠকর্মী ওই সদস্যর বাড়ি গিয়ে কিস্তি আদায়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করে এমনকি পুলিশ দিয়ে ধরে নিয়ে যাবার ভয়ভীতি দেখানো হয়। এদিকে তাদের ভয়ভীতির কারণে অসুস্থ ওই নারী টাকার সন্ধানে এদিক-সেদিক দৌড়া-দৌড়ি করতে গিয়ে পা ফসকে পড়ে আরো গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে। এ ঘটনায় প্রতিবেশীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে প্রতিকুল পরিস্থিতি বুঝতে পেরে ম্যানেজার ও মাঠকর্মী কৌশলে পালিয়ে এসেছে আর ওই নারী এখন মৃত্যুর সঙ্গে পান্জা লড়ছে।এবিষয়ে জানতে চাইলে গ্রামীণ ব্যাংকের মাঠকর্মী আব্দুল আল্লাম বলেন, তিনি ম্যানেজার স্যারের নির্দেশে কিস্তি আদায় করতে গিয়েছেন। তিনি বলেন, স্যারের কঠোর নির্দেশ কিস্তি বাঁকি রাখা যাবে না। এবিষয়ে গ্রামীণ ব্যাংকের ম্যানেজার জহুরুল বলেন, কিস্তি না দিলে বাড়িতে যাবেই কোন ছাড় নাই, কিস্তি আদায়ের ব্যাপারে চাপ রয়েছে। সরকারী নির্দেশনার বিষয়ে তিনি বলেন, তাদের কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে গেলে তো সব এনজিও বন্ধ হয়ে যাবে, তাছাড়া ঋণ নিয়ে এসব অজুহাত দেখাবে কেনো ,তাকেও তো জবাবদিহি করতে হয়। এবিষয়ে ঋণ গ্রহীতা সদস্য শারমিন বলেন, তিনি একটু সুস্থ হলেই ঋণ পরিশোধ করবেন এই কথা বলায় তাকে পুলিশ দিয়ে ধরানোর ভয় দখানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *